চাণক্যের মতে, সন্তানদের মধ্যে পাঁচটি গুণ থাকা উচিত। যা তাদের ভাগ্যবান করে তোলে। এই গুণগুলো হল বুদ্ধিমত্তা, শারীরিক শক্তি, ভাল ব্যবহার, সৌভাগ্য এবং ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি। ভারতের বিখ্যাত দার্শনিক এবং অর্থনীতিবিদ চাণক্য তাঁর নীতি গ্রন্থে বলেছেন যে এই সমস্ত গুণে সমৃদ্ধ এই ধরনের শিশুরা তাঁদের বাবা মায়ের জন্য সৌভাগ্য এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। তিনি শিশুদের শিক্ষা ও চরিত্র গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে পরামর্শ দিতেন।
বুদ্ধিমত্তার গুরুত্ব
বুদ্ধিমত্তাকে জীবনের একটি মূল্যবান সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং চাণক্য বিশ্বাস করতেন যে একটি শিশুর বুদ্ধিমত্তা তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে সাফল্য অর্জনে সাহায্য করতে পারে। শারীরিক শক্তিও গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি সুস্থ থাকতে সাহায্য করে এবং শিশুদের খেলাধুলো এবং অন্যান্য শারীরিক ক্রিয়াকলাপে পারদর্শী হতে সক্ষম করে।
ভাল ব্যবহার
শিশুদের মধ্যে ভাল আচরণও একটি অপরিহার্য গুণ, যা চাণক্য জীবনে সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় বলে মনে করেছিলেন। যে শিশু অন্যদের প্রতি সভ্য আচরণ করে সে জীবনে আরও ভাল সম্পর্ক এবং সুযোগ পায়। চাণক্যের মতে ভাগ্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি বিশ্বাস করতেন যে শুভ দশায় জন্ম নেওয়া শিশুরা সমৃদ্ধ ও সফল জীবনযাপন করে।
সন্তানের ভক্তি
আচার্য চাণক্যও ঈশ্বরের প্রতি ভক্তির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। চাণক্যের মতে, ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভক্তি থাকা একটি শিশু জীবনে সুখী ও সন্তুষ্ট রাখতে সাহায্য করে, কারণ তারা আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ এবং নীতি দ্বারা পরিচালিত হয়। চাণক্যের শিক্ষায় শিশুদের অবশ্যই বুদ্ধিমত্তা, শারীরিক শক্তি, ভাল আচরণ, সৌভাগ্য এবং ঈশ্বরের প্রতি ভক্তির মতো গুণাবলী থাকতে হবে, তবেই বাবা মায়েরা তাঁদের সাফল্য ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারেন।