প্রেম জীবন হোক বা বিবাহিত জীবন। প্রত্যেক মানুষ শান্তি চায়। প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলা যত সহজ, তা বজায় রাখা ততটাই কঠিন। চাণক্যের মতে, পুরুষদের এমন অনেক কাজ রয়েছে যা মহিলারা খুব পছন্দ করেন। এসব কারণে তাঁদের প্রেম ও দাম্পত্য জীবনে কোনও সমস্যা থাকে না। এমন সম্পর্কের মধ্যে স্ত্রী সবসময় খুশি থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, চাণক্যের মতে, পুরুষদের এমন ৪টি কাজ যা নারীদের সন্তুষ্ট করে।
গোপনীয়তা- যে সম্পর্কে বিশ্বাস আছে, সেখানে কোনও সীমাবদ্ধতা নেই। যে পুরুষরা প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারীদেরকে নিজের মতো করে জীবনযাপন করার স্বাধীনতা দেন, তাঁদের সম্পর্কের কখনও অবনতি হয় না। যাঁরা নারীদের বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখে, কিছু সময় পর তাঁদের প্রেমের সঙ্গী দমবন্ধ বোধ করতে থাকেন। তাঁরা অস্তিত্ব হারানোর ভয়ের কারণে এমন সম্পর্ক ভেঙে ফেলাই শ্রেয় বলে মনে করেন। প্রতিটি মানুষের নিজস্ব পরিচয় আছে। সেই পরিচয়কে সম্মান করতে হবে।
সম্মান- সুস্থ সম্পর্কের ভিত্তি হল ভালবাসা এবং সম্মান। যে সব পুরুষ নারীকে সম্মান করেন তাঁরাই নারীর প্রথম পছন্দ। প্রতিটি পুরুষ এবং মহিলা সম্পর্কের ক্ষেত্রে সম্মান পাওয়ার যোগ্য। যে সব পুরুষ প্রেমের সম্পর্ক বা দাম্পত্য জীবনে নারীদের সম্মান করেন না, যাঁরা তাঁদের আঘাত করেন, তাঁদের সম্পর্ক অচিরেই দুর্বল হয়ে পড়ে। যাঁরা নারীদের প্রতি মনোযোগ দেন, তাঁদের বিবাহিত জীবন এবং প্রেমের সম্পর্ক কখনও ব্যর্থ হয় না।
অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া- প্রিয় মানুষকে নিয়ে সকলেই ভাবেন। কিন্তু তাঁর উপর অধিকারবোধ বা নিজের সম্পত্তি মনে করা অনুচিত। যখন কোনও পুরুষ অতিরিক্ত যত্নশীল হয়ে ওঠেন, তখন নারীর দমবন্ধ হয়ে আসে। মহিলাদের সীমাবদ্ধতা অনুভব করেন যা তাঁরা পছন্দ করেন না। যে ব্যক্তি তাঁর বান্ধবী বা স্ত্রীকে অতিরিক্ত সন্দেহ করেন না বা অতিরিক্ত প্রোটেকটিভ নন, তাঁরাই জীবনে সফল হন। তাঁদের ভালবাসা কখনও কমে না।
অহং থেকে দূরত্ব- প্রতিটি সম্পর্কই ইগোর চেয়ে বেশি দামি। নারীরা নিজের ভুল মেনে নেওয়া পুরুষদের পছন্দ করেন। দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের মধ্যে মাধুর্য আনতে অহং বা ইগো থেকে দূরে থাকতে হবে। কখনও সম্পর্কের মধ্যে অহংকার আসতে দেবেন না। দরকারে আপোস করে নিন। কিন্তু মনে রাখবেন, সম্পর্ক ভেঙে গেলে আর জোড়া লাগে না।