Chanakya Niti For Husband-Wife Relation: বিবাহ জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত যা তাড়াহুড়ো করে নেওয়া যায় না অন্যথায় দুটি জীবন নষ্ট হয়ে যায়। দাম্পত্য জীবনের সাফল্য স্বামী-স্ত্রী উভয়ের উপর নির্ভর করে। দাম্পত্য জীবনে কখনও কখনও ঝগড়া হয়, কিন্তু তা বড় আকার ধারণ করলে বিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যায়। বিয়ের আগে জীবনসঙ্গী বাছাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চাণক্য সেই মহিলাদের কথা উল্লেখ করেছেন যারা বিবাহের পরে স্বামী এবং পরিবারের জীবনকে সুখে ভরিয়ে দেয়। এমন মেয়েকে বিয়ে করা সৌভাগ্যের ব্যাপার, তাদের ঘরে থাকাটা পৃথিবীতে স্বর্গের মতো মনে হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই মেয়েদের সম্পর্কে।
ধৈর্য্য আছে এমন মহিলা
বিয়ের পর যে নারীর জন্য স্বামীই তার সবকিছু, সে অপরিচিত পুরুষের কথা ভাবে না, এমন স্ত্রীকে বলা হয় পতিব্রতা। এই ধরনের মহিলাদের বিবাহিত জীবনের জন্য খুব ভাগ্যবান বলে মনে করা হয়। এই মেয়েরা বিয়ের পর স্বামীর প্রতিটি সুখ-দুঃখে পাশে থাকেন। চাণক্য বলেন, জীবনসঙ্গীর আচরণ দেখেই বোঝা যায় তিনি সত্য ও ভালো। বিয়ের আগে বাহ্যিক নয়, জীবনসঙ্গীর অভ্যন্তরীণ গুণাবলী ও মূল্যবোধ বিবেচনা করুন। একজন গুণী নারী কঠিন সময়েও স্বামীর পাশে থাকেন। এটি বিবাহের জন্য স্বামী নির্বাচনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
ধর্মের পালন
ধর্মীয় কাজের সঙ্গে জড়িত একজন মহিলা সঠিক এবং ভুলের পার্থক্য খুব ভালভাবে বোঝেন। এর মাধ্যমে সে শুধু পরিবারকেই নয়, সমাজকেও সঠিক পথ দেখাতে সাহায্য করেন। আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাসী নারীদের ঘরে শান্তি-সুখ নষ্ট হয় না। কোনো নারী যদি ধর্মীয় কাজে আগ্রহী হন, তাহলে বিয়ের পর সন্তানদের মধ্যেও এই গুণগুলো আসে। এতে অনেক প্রজন্ম রক্ষা পায়। ধর্ম মানুষকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।
শান্ত থাকতে পারেন
যে নারীদের মধ্যে লোভের অনুভূতি থাকে না, তারা তাদের জীবনকে সুখী করে তোলে। এই ধরনের মেয়েরা পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ করে। ধৈর্যের মাধ্যমেই তৃপ্তির অনুভূতি জাগ্রত হয়। যে নারী বিয়ের পর তার পরিবারের অর্থনৈতিক ও পারিবারিক অবস্থার ভারসাম্য বজায় রেখে তার ইচ্ছা পূরণ করেন তাকে তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির জন্য খুব ভালো মনে করা হয়।
Disclaimer: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা জরুরী যে আজতক বাংবা কোনো ধরনের স্বীকৃতি, তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।