কোনও সন্দেহ নেই যে সুখী জীবনের জন্য একজন ভালো জীবনসঙ্গী থাকা খুবই জরুরি। এ কারণেই বিয়ের আগে সব দিক থেকে খতিয়ে দেখা উচিৎ। বেশির ভাগ বিয়েই হয় ছেলেদের অর্থ আর মেয়েদের সৌন্দর্য দেখে। শুধুমাত্র এটা কারণ হলে বিবাহ বিচ্ছেদ ও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক জড়াতে পারেন নারী বা পুরুষের কোনও একজন। একজন নারী নিজের গুণ দিয়ে যে কোনও ঘরকে স্বর্গ বানিয়ে দিতে পারেন। বিষয়টি গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যায়, এতে অনেক সত্যতা রয়েছে। এই বিষয়টি আরও নিশ্চিত হয় যখন চাণক্য নীতিতে একজন মহিলার এমন গুণাবলী বর্ণনা করে যা কোনও পুরুষের ঘুমন্ত ভাগ্যকেও জাগিয়ে তুলতে পারে। আচার্য চাণক্যের বলা ভাল স্ত্রীর মধ্যে থাকে ৪ গুণাবলি।
ঠান্ডা মাথা- চাণক্য নীতিতে বলা হয়েছে যে মহিলা শান্ত মনের অধিকারী তাঁরা ভাল ঘরণী হতে পারেন। তাঁরা কোনও অবস্থাতেই রেগে যান না। স্থান এবং সময় অনুযায়ী তাঁরা ভেবেচিন্তে কাজ করতে সক্ষম হন। এই ধরনের মহিলা নিজের স্বামীর জীবনকেও সহজ করে তোলেন। তাঁরা বুঝদার হন। যে কোনও বিষয়ে ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ করেন। এই ধরনের মহিলা সংসারে সুখ আনেন।
ধৈর্য ধরা- তাড়াহুড়ো করা শয়তানের কাজ। এতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু যে ব্যক্তি ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করেন তিনি খারাপ পরিস্থিতিতেও নিরাশ হন না। এই ধরনের ব্যক্তিরা এগিয়ে যান। একজন ধৈর্যশীল মহিলাকে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছেন চাণক্য। কারণ তিনি বুঝেশুনে কাজ করতে পারেন। সংসার চালান তো নারীরাই।
ধার্মিক- ধার্মিক নারী নিজের স্বামীর ভাগ্য পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখেন। তিনি সৎ ও নীতির পথে থাকেন। তিনি কোনও বিষয়ে চটজলদি প্রতিক্রিয়া দেন না। তিনি সর্বদা তাঁর পরিবারকে অন্যায় থেকে রক্ষা করেন, যে কারণে বাড়ির লোকেদের উপর সর্বদা ঈশ্বরের আশীর্বাদ থাকে। সর্বদা কেবলমাত্র ঈশ্বরে বিশ্বাসী এবং ধর্ম অনুসরণকারী নারীকে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছেন চাণক্য।
সবাইকে সম্মান- নারীর যদি সঠিক মূল্যবোধ থাকে তাহলে সে কখনই ঘরে কোনও অশান্তি ঘটতে দেয় না। ছোট থেকে বড় সবাইকে খুশি রাখতে জানে। শুধু তাই নয়, রাগেও কাউকে অসম্মান করেন না। এমন একজন নারীকে বিয়ে করলে পুরুষেরও উন্নতি হতে থাকে। যে নারী ছোট-বড় সবাইকে সম্মান করেন, তাঁকেই বিয়ে করুন।