বিবাহবিচ্ছেদ এমন একটি শব্দ, যা একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। এর পর শুধু দুই জনের নয়, দুই পরিবারের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। বিয়ের পর অনেক সময় পারস্পরিক সম্পর্কের কারণে স্বামী-স্ত্রী দমবন্ধ বোধ করতে থাকে। এই প্রতিবেদনে এমন কারণগুলি বলা হয়েছে যা একজনকে ডিভোর্স নিতে বাধ্য করে।
ভালবাসা এবং ঘনিষ্ঠতার অভাব
জার্নাল ফর সেক্স অ্যান্ড ম্যারিটাল থেরাপিতে একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, যা অনুযায়ী ডিভোর্সের একটি বড় কারণ হল শারীরিক সম্পর্কের অভাব, আলিঙ্গন না করা, না ভালবাসা, সবসময় সঙ্গীর শারীরিক চাহিদাকে উপেক্ষা করা। প্রায় ৪৭ গবেষণায় জড়িত শতকরা শতাংশ এটিকে বিবাহবিচ্ছেদের একটি বড় কারণ বলে মনে করেন।
একে অপরকে সম্মান করবেন না
একটি সম্পর্কের মধ্যে ভালবাসা যত বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সম্মান তত বেশি গুরুত্বপূর্ণ, উভয় চাকাই সম্পর্কের কার্টকে শক্তিশালী করে। স্বামী-স্ত্রীর যত অভিযোগই থাকুক না কেন, একে অপরের সামনে রাখতে হবে। কারও সামনে একে অপরকে অপমান করা সম্পর্কের মধ্যে বিশাল ফাটল সৃষ্টি করে, যা হয়ত কখনও পূরণ হবে না।
দীর্ঘ নীরবতা
কোনও কোনও স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের মধ্যে বিভেদ ঘটলে নীরবতা পালন করেন। এই কমিউনিকেশন গ্যাপ দীর্ঘস্থায়ী হলে সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। তাই সময়মত একে অপরের যত্ন নিন। মাথা নত করে সম্পর্ক ভাল হলে মাথা নত করাই উচিত।
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থাকা
স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে যদি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থাকে, তবে তা সম্পর্কের ভিত্তি দুর্বল করে দেয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অন্য কেউ এলে সম্পর্ক বিপর্যস্ত হতে পারে।
অতিরিক্ত সীমাবদ্ধতা এবং প্রত্যাশা
প্রত্যাশার বোঝা সম্পর্ককে জটিল করে তোলে। অনেক সময় স্বামী বা স্ত্রী আমাদের কাছে পুতুলের মতো আচরণ আশা করে, আমরা যেমন কথা বলি ঠিক তেমনই হতে পারি। কিন্তু এটা সম্ভবও নয়, সঠিকও নয়, প্রত্যেক মানুষেরই জীবনের প্রথম অধিকার রয়েছে। তাই সবাইকে একটু স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। একইভাবে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধও সম্পর্কের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করে। আপনি যদি একজনকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বেঁধে রাখেন তবে সে আপনার কাছ থেকে দূরে যেতে চাইবে।