বিয়ে জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই প্রভাব আরও গভীর হয়। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, নারী ও পুরুষের বয়সে বিয়ের প্রভাব ভিন্ন। গবেষণা অনুসারে, অবিবাহিত পুরুষদের তুলনায় বিবাহিত পুরুষদের বয়স ধীরে বাড়ে, তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। এই প্রতিবেদনে আপনি এই গবেষণা সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন এবং বিয়ের বিভিন্ন দিক কীভাবে আমাদের বার্ধক্যের অভিজ্ঞতাকে প্রভাবিত করতে পারে -
সঙ্গীর সঙ্গে থাকা পুরুষরা বেশি দিন বাঁচেন। বিপরীতে, বিবাহিত মহিলাদের বার্ধক্যের অভিজ্ঞতা অবিবাহিত মহিলাদের থেকে খুব বেশি আলাদা ছিল না। গবেষণায় বলা হয়েছে, অবিবাহিত মহিলাদের তুলনায় ডিভের্সি বা বিধবা মহিলাদের বার্ধক্য প্রক্রিয়া আরও কঠিন।
এই গবেষণাটি কানাডিয়ান প্রবীণদের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছিল, যেখানে ৪৫ থেকে ৮৫ বছর বয়সী মানুষের স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা ২০ বছর ধরে ট্র্যাক করা হয়েছিল। এতে বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে যে, বিয়ে করা বা না হওয়া তাঁদের স্বাস্থ্য ও বার্ধক্যের ওপর কী প্রভাব ফেলে।
বিয়ে করার প্রভাব
সমীক্ষা থেকে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, নারী ও পুরুষের জীবনে বিয়ের প্রভাব ভিন্ন হতে পারে। এই সমীক্ষাটি আরও দেখায় যে বয়সের সঙ্গে বিবাহের গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়, যা কেবল শারীরিক স্বাস্থ্যই নয়, মানসিক এবং মানসিক সুস্থতারও প্রভাব ফেলে।
বিয়ের পর মেয়েদের জীবনযাত্রা ও পুরো জীবন বদলে যায়। কিন্তু তা ছাড়া বিয়ের পর পুরুষের জীবনও বদলে যায়। বিয়ের পর তাদের অনেক দায়িত্ব থাকে এবং তাদের স্বভাব পরিবর্তন হতে থাকে। আগে ছেলেরা চিন্তা না করে টাকা খরচ করত। বিয়ের পর তারা কিছু কেনার আগে অনেকবার ভাবতে থাকে। বিয়ের পর পুরুষরা আরও দায়িত্বশীল হয়ে ওঠে। কারণ সম্পর্ক বজায় রাখা দায়িত্বপূর্ণ। কারণ ছোট্ট একটা ভুলও জীবনে ফাটল সৃষ্টি করতে পারে। তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের দায়িত্ব উপলব্ধি করতে শুরু করে। অথচ বিয়ের আগে সে খুবই অসতর্ক।