বাদাম খান। খারাপ কোলেস্টেরল কমবে। হাই ব্লাডপ্রেশার নামবে। ট্রাইগ্লিসারাইডের আধিক্য হতে পারবে না। ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়বে। বিপাকক্রিয়াজনিত রোগ-ভোগান্তি হবে না। শরীরের ফ্যাট পুড়ে যাবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, হার্টকে সুরক্ষা দেয় যে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, বাদামে সে ফ্যাট থাকে ভালো পরিমাণেই।
অলিভ অয়েলের মতো বাদামেও থাকে স্বাস্থ্যপ্রদ অলিক অ্যাসিড। ৩৬.৫০ গ্রাম বাদামে অলিক অ্যাসিড থাকে ৮.১৬৭ গ্রাম। বাদাম থেকে মেলে অনেকটা করে ভিটামিন ই, নিয়াসিন, ফোলেট, প্রোটিন এবং ম্যাঙ্গানিজ। লাল আঙুর, রেড ওয়াইনের মতো বাদামও রেসভেরাট্রোল নামে ফোনোসিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।
৮৬ হাজার মহিলার ওপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, প্রতিদিন বাদাম খেলে হার্টের রোগভোগ হওয়ার আশঙ্কা কমে। স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরির সমতুল্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে বাদামে। জার্নাল ফুটে কেমিস্ট্রিতে ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডার বিজ্ঞানীরা সে কবেই জানিয়ে রেখেছেন, বাদামে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পলিফেনল থাকে, যেটি পি-কুমারিক অ্যাসিড যৌগ স্তরে থাকে, খোলায় ভাজলে এ অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়ে।
বাদাম এবং বাদাম থেকে তৈরি মাখন (পিনাট বাটার) করোনারি হার্ট ডিজিজে ভোগার আশঙ্কা কমায়। সপ্তাহে অন্তত চার দিন বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষক বিজ্ঞানীরা। দিনে ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম বাদাম খেতে বলেছেন। বাদাম না খেলে, বদলে পিনাট বাটার খেতে বলেছেন প্রতিদিন এক চা-চামচ করে সপ্তাহে অন্তত চার দিন। জার্নাল অব এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুট কেমেস্ট্রিতে বলা হয়েছে, মস্তিষ্ক ৩০ শতাংশ হারে রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্ট্রোক মৃত্যুর আশঙ্কা কমায় বাদামে থাকা এসব পুষ্টি উপাদান যথা কোলেট তথা ফোকি অ্যাসিড।
কাঁচা বাদামে থাকে ক্যালোরি, প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, কপার, ম্যাংগানিজসহ আরও অনেক উপকারী উপাদান। তাই দৈনিক অবশ্যই অল্প পরিমাণে হলেও খেতে পারেন কাঁচা বাদাম। ভাজা বাদামেও মিলবে উপকার।
আরও পড়ুন-সপ্তাহান্তে সংসার, বাকি দিনগুলিতে ব্যাচেলার, 'উইকেন্ড ম্যারেজ' ট্রেন্ডিং, কীরকম?