Kolmi Saag Benefits: অনেক ধরনের শাক যেমন পালং শাক, বেথো, সরষে, মেথি ইত্যাদি খেয়েছেন। কিন্তু জানেন কি কখনও কলমি শাক খেয়েছেন? সবুজ শাক সবজির মধ্যে কলমি শাক একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর। গরম ও বর্ষাকালেও পাবেন। কলমি শাক অনেক ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ।
কলমি শাকের বিস্ময়কর উপকারিতা। কলমি শাক একটি কম ক্যালোরিযুক্ত সবজি, যা ভিটামিন এ, বি, সি ইত্যাদির মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। এর পাতা সবুজ রঙের এবং ১ থেকে ৫ ইঞ্চি লম্বা এবং ১-২ ইঞ্চি চওড়া। পালং শাকের স্বাদ কিনে ৪-৫ দিনের জন্য ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। তবে তাজা রান্না করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
এই সবজিতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। ১০০ গ্রাম সবুজে প্রায় ২০ ক্যালোরি থাকে। ভিটামিন এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো অনেক ধরনের মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে এতে। ডায়াবেটিসে কলমি শাক খাওয়া যেতে পারে। এতে উপস্থিত কিছু উপাদান ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। ডায়াবেটিস থাকলে তবে কলমি শাক খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে
এতে রয়েছে ফাইবার, তাই এটি পেটকে সুস্থ রাখে। পরিপাকতন্ত্র ঠিক থাকে। বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রোধ হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ ফলমূল, শাকসবজি এবং শস্য খেলে মল আলগা হয়ে যায় এবং বাটি চলাচল স্বাভাবিক থাকে।
পাইলস নিরাময় করে
পাইলস, লিভারের কর্মহীনতা, ভারী ধাতুর বিষের চিকিৎসায়ও কলমি শাক খাওয়া উপকারী। এছাড়াও, এটি শান্তির ঘুম আনতেও কার্যকর, কারণ এর বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মন এবং মস্তিষ্ককে শান্ত করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে
এই সবজিতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কলমি শাক খেলে অনেক ধরনের সংক্রমণ ও রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন।
আয়রনের ঘাটতি হয় না
কলমি শাক খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি হয় না, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রনও রয়েছে। এটি শরীর, ত্বক এবং মস্তিষ্কে শক্তি সরবরাহ করে। ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে কার্যকর।