সামনেই পুজো। আর এই সময় মেয়েরা একটু বিশেষভাবেই স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে ওঠেন। শাড়ি হোক বা ওয়েস্টার্ন ড্রেস, সবেতেই যাতে তাঁদের দারুণ দেখায় সেই কারণে অনেক ধরনের মশলা ভেজানো জল খাওয়া শুরু করেন। আগের দিন রাতে জলে ভিজিয়ে রাখেন ওই মশলা। পরের দিন সকালে ছাকনি দিয়ে ছেঁকে নিয়ে ওই জল পান করেন। বিভিন্ন ধরনের মশলার রয়েছে বিভিন্ন গুণ। এর মধ্যে অন্যতম হল জিরে। গোটা জিরে ভেজানো জল খেতে পারলে আপনার শরীরের একাধিক সমস্যা দূর হবে নিমেষে।
ভাল থাকে হজমশক্তি
জিরে ভেজানো জল খেলে হজমশক্তি ভাল হয়। অর্থাৎ যা খাবার আপনি খাবেন তা সহজে হজম হবে। বদহজমের সমস্যা দেখা দেবে না। জিরে এমন একটি উপকরণ যা আমাদের শরীরের ডাইজেসটিভ এনজাইম ক্ষরণে সাহায্য করে। এইসব ডাইজেসটিভ এনজাইম বা উৎসেচক আদতে খাবার হজম করার ক্ষেত্রে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত সকালবেলায় খালি পেটে জিরে ভেজানো জল খেলে আপনার হজমশক্তি সুদৃঢ় হবে। আর হজমশক্তি ভাল থাকলে অ্যাসিডিটি, গ্যাস, পেটে ব্যথা এইসব সমস্যা একেবারেই দেখা দেবে না।
কমায় অ্যাসিডিটি
অ্যাসিডিটির সমস্যা কমানোর ক্ষেত্রে জিরে ভেজানো জলের মতো টোটকার জুড়ি মেলা ভার। এই ঘরোয়া টোটাকায় আপনার অ্যাসিডিটির সমস্যা একেবারেই দূর হবে। তাই যাঁদের কার্যত কিছু না খেলে বলা ভাল জল খেলেও মনে হয় অ্যাসিডিটি অনুভূত হচ্ছে তাঁরা জিরে ভেজানো জল খেয়ে দেখতে পারেন, উপকার পাবেন নিঃসন্দেহে।
কমায় ওজন
ওজন কমাতেও সাহায্য করে জিরে ভেজানো জল। জিরের মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকরণ আমাদের শরীরে মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধি করে। তার ফলে অতিরিক্ত ফ্যাট বার্ন হয় এবং ক্যালোরি কমে। আর সর্বোপরি ওজন ঝরতে দেখা যায়। অতএব ওজন কমাতে যাঁরা নিয়মিত হাজারও কসরত করছেন তাঁরা রোজ সকালে খালি পেটে জিরে ভেজানো জল খেয়ে দেখতে পারেন।
নিয়ন্ত্রণে থাকে ব্লাড সুগার
এছাড়াও জিরে ভেজানো জল খেলে আপনার ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কারণ জিরের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক উপকরণ। অতএব যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাঁরা জিরে ভেজানো জল খেতে পারেন। কিন্তু একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।