scorecardresearch
 

Rohu Fish: রোজই পাতে থাকছে রুই মাছের ঝোল, জানেন কাদের জন্য নিষেধ এই মাছ?

Rohu Fish: মাছে-ভাতে বাঙালি, এ কথা সকলেই জানে। মাছ ছাড়া বাঙালির খাওয়া সম্পূর্ণ হয় না। দুপুরে ভাতের সঙ্গে এক টুকরো মাছ না হলে মনে তৃপ্তি আসে না। আর সেটা যদি হয় রুই মাছ, তাহলে তো কথাই নেই। মাছে ভাতে বাঙালির প্রিয় ঝোল ভাত মানেই তো সেই চিরকালীন আদা জিরে কাঁচালঙ্কা দিয়ে বানানো রুই মাছের ঝোল অথবা কালোজিরে-টমেটো ও ধনেপাতা দিয়ে রুই মাছের ঝোল।

Advertisement
রুই মাছ রুই মাছ
হাইলাইটস
  • মাছে-ভাতে বাঙালি, এ কথা সকলেই জানে। মাছ ছাড়া বাঙালির খাওয়া সম্পূর্ণ হয় না।

মাছে-ভাতে বাঙালি, এ কথা সকলেই জানে। মাছ ছাড়া বাঙালির খাওয়া সম্পূর্ণ হয় না। দুপুরে ভাতের সঙ্গে এক টুকরো মাছ না হলে মনে তৃপ্তি আসে না। আর সেটা যদি হয় রুই মাছ, তাহলে তো কথাই নেই। মাছে ভাতে বাঙালির প্রিয় ঝোল ভাত মানেই তো সেই চিরকালীন আদা জিরে কাঁচালঙ্কা দিয়ে বানানো রুই মাছের ঝোল অথবা কালোজিরে-টমেটো ও ধনেপাতা দিয়ে রুই মাছের ঝোল। রুই মাছ খেতে যে অসাধারণ সেটা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। কিন্তু সকলের জন্য এই মাছ নয়। অনেকেই এই রুই মাছ খেতে পারেন না। আসুন জেনে নিই কাদের জন্য রুইমাছ খাওয়া একেবারে নিষেধ। 

রুই মাছে কী কী রয়েছে
একথা অস্বীকার করা যায় না বেশিরভাগ মাছের মতোই রুই মাছ খুবই পুষ্টিকর। রুই মাছে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান, আয়রন, জিঙ্ক, আয়োডিন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও সেলেনিয়াম, ভিটামিন সি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। রুই মাছে খুব কম পরিমাণে চর্বি থাকায় এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। আসলে প্রোটিন সব মাছেই থাকে। কিন্তু এতে উপস্থিত ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের জন্য খুবই উপকারী। এমনকি ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ থেকেও রক্ষা করে রুই মাছ।

হার্টের রোগীরা খাবেন না
তবে রুইমাছ খাওয়ার উপকারিতা যেমন আসে তেমনি অপকারিতাও রয়েছে। আসলে রুইমাছে থাকে কোলেস্টেরল, যা হার্টের জন্য ভাল নয়। রা যাক আমাদের শরীরের ১০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল প্রয়োজন, এবং আমাদের শরীর ইতিমধ্যে ৭০% কোলেস্টেরল তৈরি করে, তাই ৩০% কোলেস্টেরল খাওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু এর বেশি খেলে ক্ষতি হতে পারে। তাই যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের রুই মাছ খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। রুই মাছ খাওয়া বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে এঁদের জন্য।

আরও পড়ুন

Advertisement

আর কাদের খাওয়া নিষেধ
মাছ জল থেকে পারদ শোষণ করে। উচ্চ মাত্রার পারদ সেবন ক্ষতিকারক হতে পারে, বিশেষ করে গর্ভবতী নারী, স্তন্যদানকারী মা এবং ছোট শিশুদের জন্য। অতএব,এঁদের জন্য রুই মাছ এবং অন্যান্য উচ্চ-পারদ-যুক্ত মাছ খাওয়া সীমিত করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

রুই মাছের উপকারিতা
তবে টাটকা রুই মাছ খাওয়া স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রোগে উপকারী। রুই মাছের ব্যবহার ফুসফুসের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, যা হাঁপানির উপসর্গ কমাতেও সাহায্য করে। হাঁপানি রোগীদের অবশ্যই এই মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
 

TAGS:
Advertisement