'আতা গাছে তোতা পাখি ডালিম গাছে মউ', ছড়ার এই লাইনগুলি ছোটবেলায় নিশ্চয় অনেকেই পড়েছেন। আতা খুবই পরিচিত একটি ফল। শীতের মরশুমে যে আতা পাওয়া যায় তা শরীরের জন্যও খুবই উপকারী। অনেক জায়গায় আতা সীতাফল নামেও পরিচিত। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। পাচনতন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যায় আতা খুবই কার্যকরী প্রমাণিত হয়। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম পাওয়া যায়। আর আতা শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী নয় এটি চাষ করলে আয় বাড়ে কৃষকদেরও। চলুন বিষয়টি বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
কাস্টার্ড আপেল খাওয়ার উপকারিতা
আতা বা কাস্টার্ড (Custard Apple) আপেল এমনই একটি ফল যা অনেক কঠিন রোগ সারাতে বিশেষভাবে কাজ করে। হৃদরোগীদের জন্য কাস্টার্ড আপেল খুবই উপকারী বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এটি শরীরে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি (Vitamin C) শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য খুবই উপকারী। পাকা কাস্টার্ড আপেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ (Vitamin A) থাকে. যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে। আতায় ত্বকের টোনেরও উন্নতি হয়। এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যা ব্যথা এবং ফোলা ছাড়াও আর্থ্রাইটিসের মতো বিপজ্জনক রোগের বিরুদ্ধেও কার্যকরী প্রভাব দেখায়। এটি খেলে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় থাকে।
এটি চাষ করলে লাভ হয় কৃষকদেরও
জমিতে কাস্টার্ড আপেলের চারা রোপণের প্রায় ২ থেকে ৪ বছর পর এটিতে ফল ধরতে শুরু করে। একটি গাছ থেকে শতাধিক ফল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একজন কৃষক যদি এক একর জমিতে ৫০০টি গাছ লাগান তাহলে প্রায় ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা লাভ করতে পারে। কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ফল চাষের জন্য জমির পিএইচ মান ৫.৫ থেকে ৬.৫ হওয়া উচিত। আর এটা জানলে অবাক হবেন যে, আতার খোসা থেকে শুরু করে বীজ সবই ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন - সর্বদা দুধ খান দাঁড়িয়ে, বসে পান করুন জল, কেন?