শরীরে যখন ইনসুলিন তৈরি হয় না, তখনই ডায়াবেটিসে (Diabetes) আক্রান্ত হন মানুষ। এটা হল এমন এক হরমোন যা সুগারকে এনার্জিতে পরিণত করে। এই পরিস্থিতে ব্লাড সুগারের মাত্রা বাড়তে থাকে, যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে ক্ষতি করতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, এমনকিছু জিনিস আছে যা খাওয়া এই সময় অত্যন্ত উপকারী। তাতে রক্তে গ্লুকোজের পরিমান নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ডায়াবেটিসে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আর এই কাজে কুমড়োর বীজ ভীষণ কার্যকরী। হেলথ লাইনের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমান কার্বোহাইড্রেট থাকে। তাকে বলা হয় পলিস্যাকারাইডস। সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কুমড়োর বীজকে (Pumpkin Seeds) বিশেষ কার্যকরী হিসেবে পাওয়া গিয়েছে। আর শুধু মানুষের ওপরেই নয়, প্রাণীদেহেও এটির ব্যবহারের সুফল মিলেছে।
হেলথ স্টাডি অনুযায়ী, কুমড়োর বীজে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া গেছে। তাতে থাকে ভরপুর প্রোটিন ও ফ্যাট। ২০১৮ সালের একটি গবেষণা অনুযায়ী রোজ ৫০ গ্রাম কুমড়োর বীজ খেলে ব্লাড সুগার ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এই বীজে যে ম্যাগনেশিয়াম থাকে তা খুবই শক্তিশালী। আর সেই ম্যাগনেশিয়াম ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম করে।
সমীক্ষায় গবেষকরা মানুষকে ম্যাগনেশিয়াম যুক্ত খাবার ডায়েটে সামিল করার পরামর্শ দেন। এরজন্য কুমড়োর বীজ ছাড়াও, গোটা শস্য, বাদম এবং সবুজ শাকসবজিও ডায়েটে রাখতে পারেন। কুমড়োর বীজকে ফাইবারের একটি ভাল উৎস হিসেবে ধরা হয়, যা ব্লাড সুগারকে শোষণ করতে সাহায্য করে।
আরও সুবিধা - কুমড়ার বীজে উপস্থিত ভিটামিন-ই এবং ক্যারোটিনয়েড শরীরের প্রদাহ থেকেও মুক্তি দেয়। কুমড়োর বীজ বা তেলও শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।