scorecardresearch
 

Diabetes : এই লক্ষণগুলির একটিও থাকা মানে হাই ব্লাড সুগারের ইঙ্গিত, নেই তো?

হাইপারগ্লাইসেমিয়া প্রতিরোধের সবচেয়ে সহজ উপায় হল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা। মনে রাখবেন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই এই অবস্থা এড়ানো সম্ভব। রক্তে উচ্চ শর্করার কারণে অতিরিক্ত তৃষ্ণা, ঘন ঘন প্রস্রাব, ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, শ্বাসকষ্ট, পেটে ব্যথা, শুষ্ক মুখের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এখানে তেমনই কিছু লক্ষণের কথা বলা হচ্ছে, যেগুলি থেকে বুঝতে কোনও ব্যক্তি বুঝতে পারবেন যে তাঁর রক্তচাপ বেড়েছে কিনা। 

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • হাই ব্লাড সুগারের লক্ষণ বেশি তেষ্টা পাওয়া
  • প্রস্রাবে মিষ্টির গন্ধ পেলেও সতর্ক হোন
  • হঠাৎ ওজন কমে গেলে চিকিৎসকের কাছে যান

রক্তে উচ্চ শর্করাকে হাইপারগ্লাইসেমিয়াও বলা হয়। যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের মধ্যে এই অবস্থা বেশি দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাইপারগ্লাইসেমিয়া প্রতিরোধের সবচেয়ে সহজ উপায় হল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা। মনে রাখবেন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই এই অবস্থা এড়ানো সম্ভব। রক্তে উচ্চ শর্করার কারণে অতিরিক্ত তৃষ্ণা, ঘন ঘন প্রস্রাব, ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, শ্বাসকষ্ট, পেটে ব্যথা, শুষ্ক মুখের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এখানে তেমনই কিছু লক্ষণের কথা বলা হচ্ছে, যেগুলি থেকে বুঝতে কোনও ব্যক্তি বুঝতে পারবেন যে তাঁর রক্তচাপ বেড়েছে কিনা। 

১. বেশি তেষ্টা পাওয়া - তৃষ্ণা এবং ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া রক্তে উচ্চ শর্করার সাধারণ লক্ষণ। সারা দিনে কতটা জল পান করছেন বা খাচ্ছেন তা বিবেচ্য নয়। কেউ যদি বারবার বেশি তৃষ্ণার্ত এবং ক্ষুধার্ত অনুভব করেন তবে তা উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ হতে পারে। আসলে, যখন অতিরিক্ত পরিমাণে গ্লুকোজ অর্থাৎ চিনি পেশীতে পৌঁছায়, তখন শরীর জলশূন্য হয়ে পড়ে এবং পিপাসা অনুভূত হয়। 

২. প্রস্রাবে গন্ধ - বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কারও প্রস্রাবে যদি মিষ্টির গন্ধ পাওয়া যায়, তাহলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকই বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ। সাধারণত, প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে নির্গত চিনির পরিমাণ সনাক্ত করা যায় না। তবে কারও রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হলে কিডনির মাধ্যমে সুগার রক্ত ​​থেকে বের হয়ে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। 

৩. ঝাপসা দৃষ্টি - যদি কেউ স্পষ্ট দেখতে না পান তবে সেটি হাইপারগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্মরত প্রতি ৪ জনের মধ্যে ১ জনের টাইপ ২ ডায়াবেটিস রয়েছে। কিন্তু তাঁরা এ বিষয়ে সচেতন নযন। এমনকি যদি কারও দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায় তাহলে তা উচ্চ শর্করারও লক্ষণ হতে পারে। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের চোখের রোগ বা সংশ্লিষ্ট কোনও সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেশি। যেমন ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি এবং ডায়াবেটিক ম্যাকুলার এডিমা (DME)। 

Advertisement

৪. ক্লান্তি - যদি কেউ ক্রমাগত ক্লান্ত বোধ করেন, তাহলে সেটি রক্তে উচ্চ শর্করার লক্ষণ হতে পারে। এর জন্য অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। এতে কোনও সন্দেহ নেই যে রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করে। কিন্তু রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে কোষগুলো অক্সিজেন ও পুষ্টি পায় না, যে কারণে কোষগুলো ঠিকমতো কাজ করতে পারে না এবং ক্লান্তি বোধ হয়। 

৫. ওজন কমা - যদি কারও ওজন হঠাৎই অনেকটা কমে যায়, তাহলে তা অবহেলা করা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কারও যদি খুব দ্রুত ওজন কমে, তাহলে তা রক্তে উচ্চ শর্করার লক্ষণ হতে পারে। যদি কোনও কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে ওজন কমতে শুরু করে, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। 

আরও পড়ুন - 'কেন ফোন নম্বর দেব?' Decathlon ট্যাগ করে ট্যুইট ক্ষুব্ধ মহুয়ার

 

Advertisement