scorecardresearch
 

Fatty Liver : ফ্যাটি লিভার ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক, এই খাবারগুলি রাখবে সুস্থ

নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এমন মানুষদের শরীরে দেখা যায় যাঁরা খুব কম বা একেবারেই অ্যালকোহল খান না। এক্ষেত্রে মূলত ব্যক্তির খাদ্যাভ্যাসের কারণে তাঁর লিভারে অতিরিক্ত ফ্যাট বা চর্বি জমা হয়ে যায়। ফলে লিভার নষ্ট হতে থাকে। এই সমস্যার সমাধান না করলে লিভারের সম্পূর্ণ ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • ফ্যাটি লিভার একটি জটিল রোগ
  • জেনে নিন এর লক্ষণগুলি
  • রইল সঠিক ডায়েটের পরামর্শও

কর্মব্যস্ত জীবনের কারণে মানুষের খাদ্য ও জীবনযাত্রায় এসেছে অনেক পরিবর্তন। সময়ের অভাবে বেশির ভাগ মানুষই প্রতিদিন এমন কিছু খেয়ে থাকেন যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ফলে শরীরে অনেক রোগব্যধিও বাসা বাঁধে। যার মধ্যে অন্যতম নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে ভারতের প্রায় 32 শতাংশ মানুষ এই রোগে ভুগছেন। তো চলুন এই রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (NAFLD) কী?
নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এমন মানুষদের শরীরে দেখা যায় যাঁরা খুব কম বা একেবারেই অ্যালকোহল খান না। এক্ষেত্রে মূলত ব্যক্তির খাদ্যাভ্যাসের কারণে তাঁর লিভারে অতিরিক্ত ফ্যাট বা চর্বি জমা হয়ে যায়। ফলে লিভার নষ্ট হতে থাকে। এই সমস্যার সমাধান না করলে লিভারের সম্পূর্ণ ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে।

নন-অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভার রোগের লক্ষণ
নন-অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভার রোগের বিশেষ কোনও লক্ষণ নেই। কিন্তু কখনও কখনও এই লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে যেমন, ক্লান্তি এবং পেটের উপরের ডানদিকে ব্যথা ও অস্বস্তি।

নন-অ্যালকোহলিক স্টেটোহেপাটাইটিস কি?
এই রোগটি সাধারণ ফ্যাটি লিভারের মতো। এতে কোষে জমে থাকা চর্বি প্রদাহ সৃষ্টি করে। এতে লিভার ক্যান্সার বা সিরোসিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

নন-অ্যালকোহলযুক্ত স্টেটোহেপাটাইটিসের লক্ষণ
পেট ফুলে যাওয়া, প্লীহা বড় হয়ে যাওয়া, হাতের তালু লাল হয়ে যাওয়া এবং চোখ ও ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া নন-অ্যালকোহলিক স্টেটোহেপাটাইটিসের লক্ষণ।

নন-অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভার রোগের কারণ
কারও কারও ক্ষেত্রে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হয় যকৃতে চর্বি জমে। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে এর কারণ ভিন্ন হতে পারে। নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের প্রধান লক্ষণ হল অতিরিক্ত ওজন, স্থূলতা, রক্তে শর্করার মাত্রা এবং ফ্যাটের উচ্চ মাত্রা।

Advertisement

লিপিনকোট জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে কোলাইন একটি অপরিহার্য পুষ্টি যা নন-অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভার রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। কোলাইন শরীরে উপস্থিত অতিরিক্ত চর্বি হজম করতে, মস্তিষ্কের বিকাশ, কোষের ঝিল্লি বজায় রাখতে এবং অ্যাসিটাইলকোলিন (এক ধরনের মস্তিষ্কের রাসায়নিক) উৎপাদন করতে সাহয্য করে।

কোলাইন এবং লিভারের মধ্যে সম্পর্ক
গবেষকরা গবেষণায় এমন মহিলা এবং পুরুষদের অন্তর্ভুক্ত করেন যাঁদের ফোলেট এবং ভিটামিন বি ১২ এর মাত্রা স্বাভাবিক ছিল। যখন তাঁদের কোলাইন ছাড়া ডায়েট দেওয়া হয়, তখন তাঁদের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা যায়। এছাড়াও, তাঁদের মধ্যে পেশীর সমস্যা, রক্তে এনজাইমের উচ্চ পরিমাণও পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে গবেষকরা দেখেছেন, কোলাইন শরীরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি লিভারে উপস্থিত চর্বি হজম করতে সাহয্য করে। এর পাশাপাশি এটি ফ্যাটি লিভার রোগের ঝুঁকি কমাতেও বিশেষভাবে কার্যকরী।

যেসব জিনিসে অতিরিক্ত পরিমাণে কোলাইন থাকে
ডিম - ডিম কোলাইনের সবচেয়ে ভাল উৎস। একটি ডিমে ১৪৭ মিলিগ্রাম কোলাইন পাওয়া যায়।
সয়াবিন - আধ বাটি ভাজা সয়াবিনে ১০৭ মিলিগ্রাম কোলাইন পাওয়া যায়।
রোস্টেড চিকেন - ৮৫ গ্রাম রোস্টেড চিকেনে ৭২ মিলিগ্রাম কোলাইন পাওয়া যায়।
রাঙা আলু - একটি বড় রাঙা আলুতে ৫৭ মিলিগ্রাম কোলাইন পাওয়া যায়।
রাজমা - আধ কাপ রাজমায় ৪৫ মিলিগ্রাম কোলাইন পাওয়া যায়।
কম ফ্যাটযুক্ত দুধ - এক কাপ কম ফ্যাটযুক্ত দুধে ৪৩ মিলিগ্রাম কোলাইন পাওয়া যায়।
ব্রকলি - আধ কাপ সিদ্ধ ব্রকলিতে ৩১ মিলিগ্রাম কোলাইন পাওয়া যায়।
পনির - এক কাপ পনিরে ২৬ মিলিগ্রাম কোলাইন পাওয়া যায়।
মাছ - ৮৫ গ্রাম টুনা মাছে ২৫ মিলিগ্রাম কোলাইন থাকে। 

আরও পড়ুনচুল থেকে চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা, আমলকি ক্যান্ডি খেলে ফল পাবেন হাতেনাতে


 

Advertisement