scorecardresearch
 

Fish : বেশি মাছ খেলে হতে পারে স্কিন ক্যানসার, কত পিস খাওয়া নিরাপদ?

যারা আমিষ খায় তারা খাদ্য-তালিকায় ডিম, মুরগির মাংস, মাটন, মাছ ইত্যাদি রাখেন। তবে প্রোটিন বেশি মেলে মাছে। বিশেষজ্ঞরা এতদিন পর্যন্ত বলে এসেছেন , মাছ খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। তবে সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে মাছ মারণ রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • যারা আমিষ খায় তারা খাদ্য-তালিকায় ডিম, মুরগির মাংস, মাটন, মাছ ইত্যাদি রাখেন
  • তবে প্রোটিন বেশি মেলে মাছে
  • বিশেষজ্ঞরা এতদিন পর্যন্ত বলে এসেছেন , মাছ খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী

যারা আমিষ খায় তারা খাদ্য-তালিকায় ডিম, মুরগির মাংস, মাটন, মাছ ইত্যাদি রাখেন। তবে প্রোটিন বেশি মেলে মাছে। বিশেষজ্ঞরা এতদিন পর্যন্ত বলে এসেছেন , মাছ খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। তবে সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে মাছ মারণ রোগের  ঝুঁকি বাড়ায়। কে এই গবেষণা করেছেন এবং অতিরিক্ত মাছ খাওয়ার ফলে কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ে? আসুন জানি। 

নতুন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, Ultraviolet রশ্মি ত্বকের কোষের DNA-কে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে ত্বকের ক্যানসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, মাছ খাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মেলানোমার ঝুঁকি থাকে। যা এক ধরনের ক্যানসার। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা প্রতি সপ্তাহে ৩০০ গ্রাম মাছ খায় তাদের মেলানোমার ঝুঁকি ২২ শতাংশ বেশি। 

এই গবেষণায় ৬২ বছর বয়সী ৪ লাখ ৯১ হাজার ৩৬৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক অংশ নেয়। তাদের কাছ থেকে মাছ খাওয়ার তথ্য নেওয়া হয়। এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা গত বছর ভাজা মাছ, না ভাজা মাছ খেয়েছিলেন। 

আরও পড়ুন : 'লোকসভা ভোটে BJP ২৫ আসন পেলে কান ধরে ওঠবস করব'

কোন মাছ খেলে ঝুঁকি বাড়ে? 

এই গবেষণায় ওজন বৃদ্ধি, ধূমপান, মদ্যপান, খাদ্যাভ্যাস, ক্যানসারের পারিবারিক ইতিহাস, অতিবেগুনি রশ্মীর সংস্পর্শে আসা ইত্যাদি তথ্যকে প্রভাবিত করে এমন কারণগুলির বিশ্লেষণ করা হয়। 

গবেষণায় দেখা গেছে যে ১ শতাংশ লোকের মেলানোমার ঝুঁকি বেড়েছে। এবং ০.৭ শতাংশের মেলানোমার ঝুঁকি বেশি ছিল। যাদের তথ্য নিয়ে এই গবেষণা করা হয় তার মধ্যে যুক্ত ছিল মাছ খাওয়ার সঙ্গে ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকিও।

Advertisement

গবেষণায় আরও জানা যায়, যারা না ভেজে মাছ খেয়েছিল তাদের মেলানোমার ঝুঁকি ১৮ শতাংশ বেশি ছিল। যারা টুনা মাছ খেয়েছে তাদের মধ্যে মেলানোমার ঝুঁকি ২০ শতাংশ বেশি ছিল। আশ্চর্যজনকভাবে, যারা ভাজা মাছ খেয়েছে তাদের  ক্যানসারের ঝুঁকি ছিল না।
 
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা মাছ বেশি খায় তাদের শরীরে পারদ এবং আর্সেনিকের মতো ভারী ধাতুর মাত্রা বেশি থাকে। এগুলো ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে গবেষণার লেখকরা আরও জানিয়েছেন, এই গবেষণায় মাছে থাকা দূষিত পদার্থের পরিমাণ পরিমাপ করা হয়নি। তাই বিষয়টিকে পুরোপুরি মেনে নেওয়া ঠিক নয়। এই বিষয়ে আরও গবেষণা এখনও প্রয়োজন। 

আবার ন্যাশনাল হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের মতে, সপ্তাহে অন্তত দুবার মাছ খাওয়া উচিত। তার মধ্যে একটি হতে হবে তৈলাক্ত মাছ। তবে মাছ খাওয়ার পর যদি কেউ ত্বকে কোনও পার্থক্য দেখে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে দেখানো দরকার।

 

Advertisement