কাঁচাতে এঁচোড় (Raw Jackfruit) আর পাকলে কাঁঠাল, ছোট থেকে বড়, সকলেই কম-বেশি খেতে পছন্দ করে। এর নাম এক-এক জায়গায় এক-একরকম। কাঁঠাল ফল হিসেবে খাওয়া হয় আর এঁচোড় সব্জি হিসেবে। বাংলায় যেমন এঁচোড় বলা হয়, তেমনই অনেক জায়গায় একে গাছ পাঁঠা নামেও ডাকা হয়। বাঙালি বাড়িতে এই সময় এঁচোড় হবে না, সেটা হতে পারে না। নিরামিষ ও আমিষ দুইভাবেই এঁচোড় রান্না হয়। মাংসর পরবর্ত হিসেবে বহু বাড়িতে এঁচোড় খাওয়া হয়। এর প্রধান কারণ হয়, এর উপকারিতা। মাংসতে যে উপকারিতা থাকে, তার অনেকটাই মেলে এঁচোড়ের উপকারিতার সঙ্গে। যাঁদের মধুমেহ রয়েছে, তাঁদের জন্য দারুণ উপকারী এঁচোড়। রক্ত শর্করার মাত্রা বজায় রেখে মধুমেহকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে এঁচোড় খেতে ভাল হলেও এই সবজি কাটতে অনেকেই পারেন না। সেই কারণে এঁচোড় রান্না অনেকেই এড়িয়ে চলেন। তবে এই পদ্ধতিতে এঁচোড় কাটলে হাতে আঠা লাগবে না।
এঁচোড় কাটা সহজ কাজ নয়। এঁচোড় কাটতে গিয়ে আঠা লেগে একাকার হয়ে যায়। এই ভয়ে অনেকেই এড়িয়ে চলেন এঁচোড় কাটা। অনেকেই বাজার থেকে কেটে আনেন এঁচোড়। কেটে রাখা এঁচোড় দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকলে তাতে মাছি ভিড় করে। এর জেরে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। তবে এই কৌশল মানলে খুব সহজেই বাড়িতে এঁচোড় কাটতে পারবেন।
-এঁচোড় কাটার আগে ছুরিতে একটু তেল মাখিয়ে নিন। তারপর তাই দিয়েই কেটে নিন এঁচোড়।
-প্রথমে এঁচোড় দুভাগ করে নিন। প্রথমে বাইরের মোটা অংশটা কেটে বাদ দিয়ে দিন। তারপর মাঝের অংশট কেটে বাদ দিতে হবে।
-একটা ছোট বাটিতে শুকনো আটা নিয়ে নিন। এার ছুরিতে এবং দুহাতে আটা মাখিয়ে নিন। আর যেখানে এঁচোড় কাটবেন সেখানে কাগজ বিছিয়ে নিন। নাহলে রান্নাঘর মাখামাখি হবে এঁচোড়ের আঠায়।
-এরপর এঁচোড়ের মাঝের শিরাটা কেটে বাদ দিন। তারপর খোসাটা ছাড়িয়ে ফেলে দিন।
-হাতের কাছে ছুরি, তেল নয়তো আটা থাকলেই এঁচোড় কাটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। হাতেও লাগবে না আঠা। এভাবে এঁচোড় কেটে তৈরি করুন সুস্বাদু পদ।