scorecardresearch
 

Irregular Menstrual Pattern : পিরিয়ড অনিয়মিত? গর্ভধারণে হতে পারে সমস্যা

অনেক মহিলা আছেন যাঁদের অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যায় পড়তে হয়। অনিয়মিত পিরিয়ড হলে চক্রের দৈর্ঘ্যও পরিবর্তিত হয়। যে কোনও মহিলার গড় পিরিয়ড চক্র ২৮ দিন। যদিও এই চক্রটি একটু ছোট বা দীর্ঘ হতে পারে। তবে প্রতিমাসে এমনটা হলে তা উদ্বেগজনক হতে পারে।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন
  • যার জেরে শরীরে অনেক সমস্যা দেখা দেয়
  • বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে গর্ভধারণও

অনিয়মিত পিরিয়ডের (Irregular Periods) সমস্যায় ভুগছেন? অনেক সময় পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের (PCOS) কারণে মহিলাদের অস্বাভাবিক রক্তপাতের সম্মুখীন হতে হয়। এই সমস্যার কারণে মহিলাদের অনিয়মিত পিরিয়ড হয়। যার জেরে প্রজনন ক্ষমতার উপরও খারাপ প্রভাব পড়ে।

অনেক মহিলা আছেন যাঁদের অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যায় পড়তে হয়। অনিয়মিত পিরিয়ড হলে চক্রের দৈর্ঘ্যও পরিবর্তিত হয়। যে কোনও মহিলার গড় পিরিয়ড চক্র ২৮ দিন। যদিও এই চক্রটি একটু ছোট বা দীর্ঘ হতে পারে। তবে প্রতিমাসে এমনটা হলে তা উদ্বেগজনক হতে পারে।

পিরিয়ডের অনিয়মিত চক্র অর্থাৎ ২১ দিনের কম এবং ৩৫ দিনের বেশি। এ ছাড়া যেসব মহিলার পিরিয়ড সাইকেল অনেকটা দীর্ঘ, তাদের ওভ্যুলেটের সমস্যায় পড়তে হয়। এটিকে অ্যানোভুলেটরি চক্র হিসাবে পরিচিত। একটি ওয়েবসাইটের সঙ্গে কথা বলার সময় আইভিএফ বিশেষজ্ঞ ডাঃ উন্নতি মামাতোরা অনিয়মিত পিরিয়ড এবং ফার্টিলিটির মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে অনেক কিছু জানান। চলুন জেনে নেওয়া যাক অনিয়মিত পিরিয়ড নারীদের প্রজনন ক্ষমতার ওপর কতটা খারাপ প্রভাব ফেলে।

অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে সমস্যা
ডাঃ উন্নতি মামাতোরা বলেন, অনেক মহিলার কাছেই অনিয়মিত পিরিয়ড (Periods Problem) উদ্বেগের বিষয়। যদি কোনও মহিলার অনিয়মিত পিরিয়ড হয় তবে ওভ্যুলেটের পূর্বাভাস দেওয়া, ফার্টিলিটির লক্ষণগুলি সম্পর্কে জানা এবং সেই অনুযায়ী যৌন মিলন করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। ওভুলেশন হল সেই অবস্থা যখন মহিলাদের ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু বের হয়। মহিলারা এই সময়ে সবচেয়ে ফার্টাইল হন। 

অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে মেনোপজ, প্রারম্ভিক গর্ভাবস্থা, হরমোনের গর্ভনিরোধক, ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি, স্ট্রেস এবং পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (পিসিওএস), বা থাইরয়েড মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন মহিলারা। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে মহিলাদের মনোনিবেশেও সমস্যা হয়।

Advertisement

কখন ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত?
যদি কোনও মহিলার বয়স ৪০ বছরের কম হয় এবং অনিয়মিত পিরিয়ড হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। এ ছাড়া যদি ৭ দিনের বেশি পিরিয়ড হয়, সেই সঙ্গে গর্ভধারণেও সমস্যা থাকে তাহলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়া পিরিয়ডের সময় কম বা অতিরিক্ত রক্তপাতেও কিছু কিছু সমস্যার কারণ হতে পারে।

অনিয়মিত পিরিয়ড এবং গর্ভাবস্থা
যে মহিলাদের অনিয়মিত পিরিয়ড হয় তাঁরা গর্ভাবস্থায় অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন। সেক্ষেত্রে এই সময় কোনও মহিলা গর্ভধারণের চেষ্টা করলে, ফার্টিলিটি সংক্রান্ত পরীক্ষা করানো জরুরি। এছাড়াও প্রজনন সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া এবং নির্দেশগুলি অনুসরণ করা উচিত। 

আরও পড়ুন'কিচ্ছু হয়নি,' ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে দাবি মমতার

 

Advertisement