scorecardresearch
 

COPD Symptoms-Prevention Tips: অকেজো হচ্ছে ফুসফুস, চিনে নিন COPD-র এই লক্ষণগুলি, প্রতিকার কী?

পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের এই অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মহিলাদের ফুসফুস পুরুষদের তুলনায় ছোট। তাঁরা সিগারেট বা অন্যান্য ধরণের ধোঁয়ার প্রতি বেশি সংবেদনশীল। ইস্ট্রোজেন ফুসফুস সংক্রান্ত রোগ বড় ভূমিকা পালন করে। ওষুধ, অক্সিজেন থেরাপি ইত্যাদির মাধ্যমে এই অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

Advertisement
ফুসফুসের সমস্যার প্রতিকার। ফুসফুসের সমস্যার প্রতিকার।
হাইলাইটস
  • এই অসুখ হলে সঙ্কুচিত হয় ফুসফুসের শ্বাসনালী।
  • যার ফলে অসুবিধা হয় শ্বাসপ্রশ্বাসে।
  • সিওপিডি সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে।

ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, যা সংক্ষেপে সিওপিডি নামে পরিচিত। এই অসুখ হলে সঙ্কুচিত হয় ফুসফুসের শ্বাসনালী। যার ফলে অসুবিধা হয় শ্বাসপ্রশ্বাসে। শরীর ভিতর থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড বাইরে বের হয় না। কাশি, অত্যধিক শ্লেষ্মা তৈরি, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, ওজন হ্রাস সিওপিডি-র কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ। সিওপিডি সময়মতো ধরা পড়লে রোগ নিরাময় করা যায়। সিওপিডি সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। 

পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের এই অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মহিলাদের ফুসফুস পুরুষদের তুলনায় ছোট। তাঁরা সিগারেট বা অন্যান্য ধরণের ধোঁয়ার প্রতি বেশি সংবেদনশীল। ইস্ট্রোজেন ফুসফুস সংক্রান্ত রোগ বড় ভূমিকা পালন করে। ওষুধ, অক্সিজেন থেরাপি ইত্যাদির মাধ্যমে এই অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

সিওপিডির-র লক্ষণ 
 
ফুসফুসের অনেকটা ক্ষতি হওয়ার পরই সিওপিডির লক্ষণ সাধারণত দেখা যায়। ধূমপান করলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অসুখ আরও বাড়তে শুরু করে। COPD-এর সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে সময়মতো লক্ষণগুলি চিনতে পারা জরুরি। যাতে এই অসুখের চিকিৎসা করা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক সিওপিডি-র লক্ষণ ও কারণ

দীর্ঘস্থায়ী কাশি- সিওপিডির অন্যতম প্রধান উপসর্গ হল দীর্ঘ সময় ধরে কাশি। সিওপিডির সমস্যার কারণে সারাদিন একটানা কাশি হতে পারে। সাধারণত ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের বেশি কাশি হলে COPD-এর প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। 

হলুদ বা সবুজ শ্লেষ্মা- COPD-এর দ্বিতীয় প্রধান লক্ষণ হল অতিরিক্ত শ্লেষ্মা তৈরি হওয়া। যদি আপনার শ্লেষ্মাটির রং হলুদ বা সবুজ দেখায় তবে তা সংক্রমণের ইঙ্গিতবাহী।

শ্বাসকষ্ট- COPD-এর তৃতীয় প্রধান উপসর্গ হল শ্বাসকষ্ট। দীর্ঘক্ষণ হাঁটার পর বা পরিশ্রমের পর যদি সারাদিন ক্লান্ত বোধ করেন তবে তা ফুসফুস দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

Advertisement

কারণ ছাড়াই ওজন কমা-COPD-এর চতুর্থ প্রধান উপসর্গ ওজনহ্রাস। কোনও কারণ ছাড়াই ক্রমাগত ওজন কমে যেতে পারে এই অসুখে। যদি আপনার ওজন কোনও কারণ ছাড়াই ক্রমাগত কমতে থাকে, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা দরকার। 

COPD-এর কারণ

যাঁরা প্রচুর পরিমাণে সিগারেট খান তাঁদের মধ্যে COPD-এর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। অন্যদিকে এর আর একটি প্রধান কারণ হল দূষণ। অতিরিক্ত ধোঁয়া বা রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসলেও ক্ষতি হয় ফুসফুসের।

কাদের ঝুঁকি বেশি

ধূমপান সেবন-দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করা ব্যক্তিদের COPD-এর ঝুঁকি অনেক বেশি। যত বেশি পরিমাণ সিগারেট খান, সিওপিডি-তে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তত বেশি। গাঁজা খেলেও শরীরে বাসা বাঁধে অসুখ। 

হাঁপানি রোগী - হাঁপানির সমস্যা শ্বাসনালীর একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত ব্যধি। হাঁপানি রোগীদেরও সিওপিডির ঝুঁকি বেশি থাকে। হাঁপানি রয়েছে আবার ধূমপানও করেন, তাহলে COPD-এর ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে। 

ধুলো এবং রাসায়নিকের সংস্পর্শে- যাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে ধুলো এবং রাসায়নিকের সংস্পর্শে থাকেন তাঁদেরও COPD হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

COPD থেকে সমস্যা

শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ- সিওপিডি সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা সহজেই ঠান্ডা,ফ্লু এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। সিওপিডির পাশাপাশি শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে ফুসফুসের কোষের ক্ষতি হয়। যার ফলে সমস্যা আরও বাড়ে। 

হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা- সিওপিডিতে আক্রান্ত রোগীদের হৃদরোগের আশঙ্কা বেশি। তবে এর কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

ফুসফুসের ক্যান্সার-COPD রোগীদের ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। 

ফুসফুসের ধমনীতে উচ্চ রক্তচাপ- COPD ফুসফুসে রক্ত ​​বহনকারী ধমনীতে উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি করে।

অবসাদ- সিওপিডিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের যে কোনও কাজ করার সময় শ্বাসকষ্ট হয়। এই গুরুতর সমস্যায় তাঁরা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন।

কীভাবে COPD থেকে মুক্তি 

এমন কিছু উপায় আছে যার দ্বারা আপনি এই রোগের অগ্রগতি রোধ করতে পারেন। সিওপিডির বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যাঁরা প্রচুর ধূমপান করেন। এই অসুখ থেকে বাঁচার সবচেয়ে উত্তম উপায় হল- অবিলম্বে ধূমপান ত্যাগ করা। COPD-এর আর একটি প্রধান কারণ হল ধুলো এবং রাসায়নিকে সংস্পর্শে আসা। এজন্য নিজের যত্ন নিন। ধুলো-দূষণ থেকে দূরে থাকুন। একান্তই দরকার হলে মাস্ক ব্যবহার করুন। 

আরও পড়ুন-  ডায়েটেও কমছে না ওজন? রান্নাঘরের এই ৪ মশলায় তাড়াতাড়ি গলবে নাছোড় মেদ

Advertisement