আবারও এসে গিয়েছে বিয়ের মরশুম। কোভিড পরিস্থিতিতে অবশ্য বিয়েবাড়ির আয়োজনে অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। যদিও রাজ্য সরকারের নয়া নির্দেশিকায় বিয়েবাড়িতে জমায়েতের পরিমান ৫০ থেকে বাড়িয়ে ২০০ করা হয়েছে, যা কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে অনেক পাত্রপাত্রীকে। তবে কেউ কেউ আবার বলছেন, লোকসংখ্যা বাড়িয়ে ২০০ করা পরেও কাটছাঁট করতে হচ্ছে গেস্টের তালিকায়। এই পরিস্থিতিতে তাই বিধিনিষেধ মেনেই বিয়ের অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে তোলার চেষ্টা করছেন প্রত্যেকে। সেক্ষেত্রে আপনিও যদি আপনার বিয়েকে স্মরণীয় করে তুলতে চান, তাহলে রইল কিছু প্ল্যান।
মাস্ক ও স্যানিটাইজার প্রদান - বর্তমানে বাড়ির বাইরে পা রাখা বা যেকোনও জমায়েতে যাওয়া মানেই মাস্ক মাস্ট। সঙ্গে রাখতে হয় স্যানিটাইজারও। তাই অনুষ্ঠানে প্রত্যেক নিমন্ত্রিতর হাতে আপনিও তুলে দিতে পারেন মাস্ক ও স্যানিটাইজার (Sanitizer)।
মাস্কে ছাপিয়ে ফেলুন মেনু - অনেকেই বিয়ে বা রিসেপশানের স্মারক হিসেবে পেন, চাবির রিং কিংবা অন্যকিছুতে মেনু ছাপান। সেক্ষেত্রে কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মাস্কে (Mask) মেনু ছাপিয়ে তা তুলে দিতে পারেন নিমন্ত্রিতদের হাতে।
সচেতনতার বার্তা - অনুষ্ঠান ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট পোস্টার আকারে রাখতে পারেন কোভিডের সচেতনতামূলক বার্তা। যার ফলে বিয়ের অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েও একজন দায়িত্বশীল নাগরিকের ভূমিকা পালন করতে পারবেন আপনি।
নিমন্ত্রিতদের হাতে তুলে দিন পার্সেল - কোভিড বিধি (Covid Protocols) পালনের অন্যতম শর্ত ভিড় এড়ানো। সেইদিক থেকে বসিয়ে খাওয়ানোর পরিবর্তে প্রত্যেক নিমন্ত্রিতর হাতে তুলে দিতে পারেন খাবারের পার্সেল। সেক্ষেত্রে খুব সহজেই এড়ানো যাবে ভিড়।
অতিরিক্ত খাবার ফেলবেন না - করোনা (Corona) পরিস্থিতিতে অনেক জায়গাতেই ছোট ছোট কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। সেইসব জায়গার মানুষদের কাছে খাবারও পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ প্রশাসন। অন্যদিকে আবার এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁরা কোভিডকালে দুবেলা ঠিকমতো খাবারের যোগানও করতে পারছেন না। তাই অনুষ্ঠানে বেঁচে যাওয়া খাবার না ফেলে ওই সমস্ত মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করুন। তাতে তাঁদের মুখে হাসি আপনার অনুষ্ঠানে বাড়তি আনন্দ যোগ করবে।