Mouth Sores Home Remedies: প্রায়শই জিভ, ঠোঁট বা মুখের ঘা খুব কষ্ট দেয়। সাধারণত হজমের সমস্যা বা কোনও রকমে জিভে-ঠোঁটে কেটে যাওয়ার ফলে ওই ক্ষতস্থানে ঘা হয়ে যায়। এই ক্ষত একটা ছোট বিন্দুর মতো দেখতে হলেও এর জন্য খাবার খেতে, কথা বলতেও খুব কষ্ট হয়।
কখনও কখনও এই সমস্যা শরীরে ভিটামিন বি-এর অভাব, আয়রনের ঘাটতি, খাদ্যের মাধ্যমে সংক্রমণ এবং গুটি বসন্তের মতো রোগের কারণেও হয়ে থাকে। চিকিৎসকের পরামতো মেনে ওষুধ খেলে বা মলম লাগালে অল্প দিনের মধ্যেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে ওষুধের পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নিলেও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। চলুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...
আরও পড়ুন: ফিটকিরি-নারকেল তেল দিয়েও সাদা চুল কালো করা যায়, জানুন পদ্ধতি
মুখের আলসারের ঘরোয়া প্রতিকার:
১) তাজা গরুর দুধ পান: খাঁটি দুধ মুখের আলসারের জন্য ভালো। গরুর কাঁচা দুধ পান করলে মুখের আলসারে খুব উপকার পাওয়া যায়। আসলে, গরুর তাজা দুধে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি সংক্রমণ কমাতে পারে। উপরন্তু, এটি মুখের আলসার প্রশমিত করতে পারে এবং এই জ্বালাপোড়া থেকে ত্রাণ প্রদান করতে পারে। তাই মুখে ফোসকা পড়লে তাজা গরুর দুধ পান করুন।
২) মুখে মধু লাগান: মুখের আলসারের জন্য মধু খুবই উপকারী। মধুর উপকারিতা অনেক এবং তার মধ্যে একটি হল এটি মুখের আলসারের ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে এটি কাজে লাগানো যেতে পারে। এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক। এছাড়া এটি জ্বালাপোড়া প্রশমিত করতেও কার্যকর। তাই মুখে ঘা হলে এক চামচ মধু নিয়ে সারা মুখে লাগান। এভাবে কিছুক্ষণ রেখে তারপর জল পান করুন।
৩) মুখের আলসার সারাতে পান পাতায় চিনি দিয়ে চিবিয়ে খান: পান আপনার মুখের ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করতে পারে, যার ফলে মুখের সংক্রমণ হয় না। এছাড়াও, এটি ফোস্কা জ্বালাপোড়া কমাতে পারে এবং এটি থেকে মুক্তি দিতে পারে। এছাড়াও, আপনি যখন এটির সঙ্গে চিনির মিছরি খান, এটি পেট ঠান্ডা করে এবং ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। তাই মুখে ফোস্কা পড়লে বা ঘা হলে পানের মধ্যে চিনি মিশিয়ে ধীরে ধীরে চিবিয়ে খেতে থাকুন। এই রস ক্ষতস্থান দ্রুত সারাতে সাহায্য করে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত প্রতিকারগুলি প্রচলিত ঘরোয়া টোটকা। এগুলি সাধারণ তথ্যের জন্য মানুষের কৌতুহলের কথা মাথায় রেখে দেওয়া হয়েছে। যে কোনও প্রতিকার বা টোটকা প্রয়োগের আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।