ঘুমের মধ্যে অনেকের ক্ষেত্রেই পিঠ বা পায়ের পেশিতে টান লাগে। আর তা নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয়। একটানা অনেকক্ষণ বসে বা শুয়ে থেকে ওঠার সময়ে পিঠ ও পায়ের পেশিতে টান ধরে। রাতে ঘুমিয়ে আছেন, পাশ ফিরতে গিয়ে দেখলেন পায়ের পেশি টান ধরে অসাড় হয়ে গেছে। এমনটা তো অনেকেরই হয়। আজ আমরা আপনাকে বলব এমন হলে কীভাবে এর থেকে মুক্তি পাবেন
কেন পেশিতে টান ধরে?
পেশির টান আপনা থেকেই ছেড়ে যায় বেশির ভাগ সময়ে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অসাড় ভাবটা কেটে যাওয়ার পরেও যন্ত্রণা থেকে গেছে। সে ক্ষেত্রে কী করণীয় জেনে নিন। পেশিতে টান ধরার অন্যতম কারণ হল শরীরে জলের পরিমাণ কমে যাওয়া। জলের ঘাটতি পড়ছে পেশির স্থিতিস্থাপকতায়। রাতে পাশ ফিরে শোওয়ার সময়ে বা হাঁটাহাঁটির সময়ে, বসে বা শুয়ে থেকে ওঠার সময়ে পেশিতে আঘাত লাগছে। পেশিতে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমে গেলে বা ভিটামিন ও পটাসিয়ামের অভাব হলেও ঘন ঘন পেশিতে টান ধরতে পারে।
কী কী করবেন এমন সমস্যা হলে?
পেশিতে টান ধরলে সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত জায়গায় বরফ সেঁক দিন। দ্রুত মাসাজ করে পেশিকে শিথিল করে তুলতে হবে। এমনভাবে মাসাজ করুন যাতে জায়গাটায় চাপ পড়ে, কিন্তু ব্যথা না লাগে। গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে ভাল করে নিংড়ে নিন। এবার ভেজা তোয়ালে ব্যথার জায়গায় চেপে ধরে থাকুন। অনেকটা আরাম হবে।
একটি চেয়ারে ভর দিয়ে দাঁড়ান। যে পায়ে টান লেগেছে সেটি কোমর বরাবর সামনের দিকে তুলুন। ১০ সেকেন্ড রেখে নামিয়ে নিন। বার কয়েক এমন করলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। পেশির টান ছেড়ে যাবে।
যদি ঘন ঘন পেশিতে টান ধরে, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ঘুমনোর সময় পায়ের নিচে বালিশ রাখুন। সবুজ শাকসবজি, ফল, ডিম, দুধ খেতে হবে। ডাবের জল খান। যদি দেখেন টান ধরার পর পায়ের পেশি ফুলে উঠছে এবং সেখানকার ত্বকের রং বদলে যাচ্ছে, তা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।