শীতকাল প্রায় শেষের দিকে। তবে এখনও বাজারে কমলালেবু বেশ ভালই পাওয়া যাচ্ছে। আর শীতকাল মানে ডায়েটে কমলালেবু প্রায় সবাই রাখেন। কারণ শীতকাল মানেই নানা ধরনর খাবারদাবার, পিকনিক, ঘোরফেরা, আড্ডা। সেক্ষেত্রে বাড়িতে লাঞ্চের পরে হোক বা পিকনিকে দুপুরের খাওয়াদাওয়ার পর, কমলালেবু মাস্ট। আসলে কমলালেবু এমন একটি ফল যা ভারতে মানুষ খুবই আনন্দের করে ও ভালবেসে খান। যেহেতু এটি খুব একটা দামি নয়, তাই ধনী হোক বা দরিদ্র, প্রায় সকলেই এটি খেতে পারেন।
রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্যগুণ
কমলালেবু শুধু স্বাদেই দারুণ নয়, এর অনেক উপকারও আছে। অর্থাৎ কমলালেবু স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান, যা শরীরের বিভিন্ন উপকারে আসে। তবে মাথায় রাখবেন, এই ফলের এত গুণ থাকা সত্ত্বেও, সকলের জন্য কিন্তু এটি উপকারী নয়। অর্থাৎ এমন কিছু মানুষ আছেন যাঁদের কমলালেবু খাওয়া ঠিক নয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, কাদের এই ফল এড়িয়ে চলা উচিত।
১. পেট ব্যাথা
পেট ব্যথা মানুষের অনেক কারণে হতে পারে। তবে তারমধ্যে একটি কারণ হতে পারে কমলালেবুও। তাই কখনও যদি দেখেন কমলালেবু খাওয়ার পর হঠাৎ পেট ব্যথা শুরু হয়েছে, তাহলে তা ডায়েট থেকে বাদ দিন। কারণ কমলালেবুতে থাকা অ্যাসিড পেটে ব্যথার সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
২. বদহজমের সমস্যায়...
যাঁদের পেটের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের কমলালেবু খাওয়া উচিত নয়। কারণ এটি ডায়রিয়া, পেট ফাঁপা এবং বদহজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। গোটা কমলালেবু খেলে তা শরীরে ফাইবারের জোগান দেয়, ফলে ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩. গ্যাস-অম্বলে ভুগছেন যাঁরা
যাঁরা প্রায়শই গ্যাস অম্বলে ভোগেন, তাঁদের কমলালেবু বা অরেঞ্জ জ্যুস এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ কমলালেবু খেয়ে বদহজম হলে বুকে পেট জ্বলা বা অস্বস্তি বাড়তে পারে।
৪. দাঁতে ক্যাভিটি থাকলেও খাবেন না
কমলালেবুতে এমন এক ধরনের অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা দাঁতের এনামেলে উপস্থিত ক্যালসিয়ামের সঙ্গে মিশে গেলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। তাই দাঁতে ক্যাভিটি থাকলে কমলালেবু খাওয়া ঠিক নয়, তাতে দাঁত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আরও পড়ুন - পয়লা বৈশাখের পরেই গজলক্ষ্মী রাজযোগ, দেবগুরু কৃপা বর্ষাবেন ৩ রাশিতে