মাছের প্রতি বাঙালির ভালোবাসার কথা প্রায় সকলের জানা। ইলিশ, রুই, কাতলা, ভেটকি, পাবদা, পারশে, মৌরলা ইত্যাধি ছোট- বড় টাটকা মাছ বাজার থেকে কেনার জন্য ভিড় জমে সকাল - সন্ধ্যে। বিশেষত উৎসবের আগের দিনগুলিতে মাছের দোকানে ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। চিংড়ি মাছও অনেকের পছন্দের তালিকার একেবারে শীর্ষে থাকে।
কচুশাক দিয়ে চিংড়ি, ডাব চিংড়ি, চিংড়ির মালাইকারি, লাউ চিংড়ি, প্রণ পোলাও, চিংড়ির চপ, কাটলেট ইত্যাদি রকমারি স্বুসাদু পদের নাম শুনলেই জিভে জল আসার উপক্রম। এই মাছের অনেক উপকারিতাও রয়েছে। ক্যালোরি, প্রোটিন, সেলেনিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, নিয়াসিন, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি১২, আয়োডিনের মতো পুষ্টিগুণে সম্পন্ন চিংড়ি মাছ। আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে এই মাছ দারুণ উপকারী।
চিংড়িতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম। ১০০ গ্রাম প্রায় চিংড়িতে ১১৫ গ্রাম ক্যালোরি রয়েছে। কম ক্যালোরির কারণে নির্দ্বিধায় খাদ্যতালিকায় চিংড়ি অন্তর্ভুক্ত করা যায়। চিংড়ি মাছ, প্রোটিনের দারুণ উৎস। ওজন কমানোর পাশাপাশি প্রোটিন অনেক কিছুতেই উপকারী। সামুদ্রিক এই মাছের একটা বিশেষ দিক হল, এটি সম্পূর্ণ কম চর্বিযুক্ত খাবার। এই কারণে ওজন কমানোর পাশাপাশি এটি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল। চিংড়ি ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, এজন্যে পেটের চর্বি কমাতেও সহায়ক।
তবে চিংড়ি চটজলদি রান্না করা গেলেও, এই মাছ পরিষ্কার করটা বড় ঝক্কি। অনেকর ঝামেলা এড়াতে মাছ বিক্রেতার থেকেই পরিষ্কার করিয়ে আনেন। আবার অনেকে জানেন না, কীভাবে পরিষ্কার করতে হয়। না জেনে অনেকে চিংড়ির কালো শিরা ফেলেন না, আর সেখানেই হতে পারে বিপত্তি। চিংড়ির মাছের খলসের নীচে, কালো শিরায় শরীরের নানা বর্জ্য জমা থাকে। যা, ভাল করে পরিষ্কার করে না খেলে, ভয়ানক অ্যালার্জির সমস্যা হয়ে পারে।