জল খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। কিন্তু কেউ কি আপনাকে কখনও বলেছেন যে জল খাওয়া ক্ষতিকারকও হতে পারে? আজ্ঞে হ্যাঁ, আপনি হয়তো জানেন না, কিন্তু অতিরিক্ত জল খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকরও হতে পারে। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, কোনও মানুষের কত গ্লাস জল খাওয়া উচিত তার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তাই যাঁরা আট-দশ গ্লাস জল খাওয়ার কথা বলেন, তাঁরা শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতেই এই কথা বলেন। একজন ব্যক্তির কতটা জল পান করা উচিত তা সম্পূর্ণভাবে সেই জায়গার পরিবেশ, ব্যক্তির বয়স, লিঙ্গ এবং তাঁর ফিটনেসের উপর নির্ভর করে।
জলের ঘাটতি এবং অতিরিক্ত জলপান, দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। যদিও জলের অভাবে কারও ডি-হাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়ে, তাহলে কেউ কেউ অতিরিক্ত হাইড্রেশনের সমস্যাতেও ভোগেন।
ক্রীড়াবিদরা এই সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। জলের অভাবে একদিকে যেমন তাদের পেশিতে টান ধরে, অন্যদিকে বেশি জল খেলে তাদের রক্তের ঘনত্ব কমে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, যতটুকু তেষ্টা ঠিক ততটুকুই জলপান করা উচিত। তেষ্টা না পেলে জোর করে জলপান করা উচিত নয়।
অতিরিক্ত জলপান করলে মাথা ঘোরা এবং শরীরে অস্বস্তি লাগতে শুরু করে। অনেক সময় হার্টবিটও বেড়ে যায়। তবে এর মানে এই নয় যে জল কম পান করা উচিত। অ্যালকোহল ছাড়া আমরা যে তরলই গ্রহণ করি তাতে কিছু পরিমাণ জল থাকে। তৃষ্ণার্ত হওয়া মানেই শরীরে জলের অভাব। তেষ্টা পাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। তবে যখন জলের প্রয়োজন অনুভব করবেন তখনই পান করুন। জোর করে জলপান করা ঠিক নয়।
প্রস্রাবের রঙ দেখেও শরীরে জলের অভাব বোঝা যায়। যদি প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হয়, তাহলে তার সহজ অর্থ হল শরীরে জলের অভাব রয়েছে। কিন্তু সেটি ঠিক করতে প্রচুর জলপান করা ঠিক নয়। প্রস্রাব রং হালকা হলুদ থাকলে তা স্বাভাবিক।