scorecardresearch
 

Summer Vacation 2022 In West Bengal : সামনেই গরমের ছুটি, পরিবার নিয়ে ঘুরে আসুন এই হিলস্টেশনগুলিতে

আগামী ২ মে থেকে স্কুলে গরমের ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু বৃষ্টি যদি না হয়, তাহলে এই দাবদাহ থেকে রেহাই কীভাবে মিলবে? অনেকেই মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে শান্তি দিতে পারে একমাত্র হিল স্টেশান। সেক্ষেত্রে বাজেট এবং বাকি সবদিক অনুকূল থাকলে সপ্তাখানেকের জন্য ঘুরে আসতেই পারেন পাহাড়ের কোল থেকে। গরমের ছুটিতে সপরিবারে ঘুরতে যাওয়ার কয়েকটি ডেস্টিনেশনের ঠিকানা দিলাম আমরা। 

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • গরমের ছুটিতে পাহাড়ে ঘুরে আসুন
  • যেতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে বা ভিনরাজ্যে
  • রইল কিছু গন্তব্যের সন্ধান

তীব্র গরমে তপ্ত মেদিনী। একফোঁটা বৃষ্টির দেখা নেই। আগামী মাসের প্রথম দিকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে তা কতটা হবে, বা হলেও দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলার হবে কিনা তা নিয়ে রীতিমতো সংশয়ও রয়েছে আবহাওয়াবিদদের মধ্যেই। এদিকে আগামী ২ মে থেকে স্কুলে গরমের ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু বৃষ্টি যদি না হয়, তাহলে এই দাবদাহ থেকে রেহাই কীভাবে মিলবে? অনেকেই মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে শান্তি দিতে পারে একমাত্র হিল স্টেশান। সেক্ষেত্রে বাজেট এবং বাকি সবদিক অনুকূল থাকলে সপ্তাখানেকের জন্য ঘুরে আসতেই পারেন পাহাড়ের কোল থেকে। গরমের ছুটিতে সপরিবারে ঘুরতে যাওয়ার কয়েকটি ডেস্টিনেশনের ঠিকানা দিলাম আমরা। 

দার্জিলিং : বঙ্গবাসীর কাছে পাহাড় বলতে প্রথমেই যে নাম মনে আসে তা হল দার্জিলিং। সেক্ষেত্রে স্কুলে গরমের ছুটি শুরু হলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এক সপ্তাহের জন্য ঘুরে আসতেই পারেন দার্জিলিং থেকে। সঙ্গে কার্শিয়াং, কালিম্পংসহ অন্যান্য সমস্ত সাইট সিনও করে ফেলতে পারেন। তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন এখন কিন্তু পিক সিজন। উত্তরবঙ্গে যাওয়ার প্রতিটা ট্রেনই প্রায় ভর্তি। এমনকি স্পেশাল ট্রেন দিয়েও কার্যত চাহিদা মেটাতে পারছে না রেল। আবার হোটেলগুলিতেও প্রায় ঘর ফাঁকা নেই বললেই চলে। তাই দার্জিলিং বা উত্তরবঙ্গের যেখানেই যান না কেন ট্রেনের টিকিট ও হোটেল কনফার্ম কিনা সেই দিকটা অবশ্যই দেখে নেবেন।  

লাভা-লোলেগাঁও-রিশপ-রিম্বক : উত্তরবঙ্গের আরও এক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হল লাভা-লোলেগাঁও (Lava Lolegaon Rishop Tour Plan)। কালিম্পং থেকে লাভার দূরত্ব ৩৪ কিলোমিটার। এখানকার নিরিবিলি পরিবেশ ও পাইনের জঙ্গলে আপনার মন হারাতে বাধ্য। লাভা থেকে লোলেগাঁও যেতে সময় লাগে মোটামুটি ১ ঘণ্টা। সন্ধ্যা বেলায় লোলেগাঁও থেকে দূরের কালিম্পং শহরকে দেখলে মনে হবে ঠিক যেন পাহাড়ের বুকে কতগুলো প্রদীপ জ্বলছে। অন্যদিকে লাভা থেকে রিশপ-রিম্বকের দূরত্বও খুব বেশি না। এই সবকটি জায়গাতেই রয়েছে বিভিন্ন মানের ও দামের হোটেল এবং রিসর্ট। বাজেট অনুযায়ী বুক করে নিলেই হল। 

Advertisement
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঝান্ডি ও কোলাখাম : কালিম্পং জেলার আরও দুই অপরূপ সুন্দর পর্যটনস্থল ঝান্ডি ও কোলাখাম। মূলত এই দুটিই হল পাহাড়ি গ্রাম। সবচেয়ে বড় কথা ঝান্ডি পৌঁছনোর রাস্তাটিও ছবির মতো সুন্দর। সে পথে একবার গেলে আপনার দুচোখ জুড়িয়ে যাবে। চারিদিকে রয়েছে সবুজ চা বাগান। তার মধ্যে দিয়ে চলে গিয়েছে রাস্ত। ঝান্ডিতে থাকার জন্য ইকো হাটও (Jhandi Eco Hut) রয়েছে। এখান থেকে গাড়ি করে ঘুরে নিতে পারবেন কোলাখামও। তবে অনেকে আবার লাভা-লোলেগাঁও-রিশপ-রিম্বক ট্যুরের সঙ্গেই কোলাখামটাও ঘুরে নেন।

সান্দাকফু-ফালুট : পশ্চিমবঙ্গের উচ্চতম শৃঙ্গ সান্দাকফু। উচ্চতা ১১,৯৪১ ফুট। যাঁরা ট্রেকিং ভালবাসেন তাঁদের কাছে এই জায়গা বরাবরই পছন্দের (Sandakphu Phalut Trek)। তবে সাধারণ পর্যটকরাও সান্দাকফু যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে ভাড়া করে নিতে পারেন ল্যান্ড রোভার। দলে সদস্য সংখ্যা বেশি হলে ল্যান্ড রোভার ভাড়া করার ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া যায়। কারণ তাতে মোট ভাড়া দলের সদস্যদের মধ্যে ভাগ হওয়ায় খরচ কিছুটা কম হয়। পৃথিবীর ৫টি সর্বোচ্চ শৃঙ্গের ৪টি অর্থাৎ এভারেস্ট, কাঞ্চনজঙ্ঘা, লোৎসে ও মাকালু দেখা যায় সান্দাকফু থেকে। একইসঙ্গে সান্দাকফু থেকে ঘুরে দেখে নিতে পারেন ফালুটও। 

কাশ্মীর : যদি পশ্চিমবঙ্গের বাইরে পাহাড়ি এলাকায় যাওয়ার প্ল্যান থাকে তাহলে বেছে নিতে পারেন ভূস্বর্গ কাশ্মীরকে। জম্মুতে এখন গরম পেলেও কাশ্মীরে কিন্তু ভালই ঠান্ডা। কাশ্মীরের হিমেল পরশে ডাল লেকে বোটিং করলে বা, সোনমার্গ, গুলমার্গ, পহেলগাঁওয়ের মতো জায়গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে নিজেকে হারিয়ে ফেললে বাড়ি ফেরার কথা কার্যত ভুলেই যাবেন। এই সময় সোনমার্গে বরফ নিয়ে খেলার সুযোগ পেতে পারেন। আর হ্যাঁ, গুলমার্গে কিন্তু গন্ডোলা বা রোপওয়েতে চাপতে ভুলবেন না। 

নৈনিতাল : যাঁরা পাহাড় ভালবাসেন তাঁদের কাছে আরও এক পছন্দের ডেস্টিনেশন নৈনিতাল। উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুন প্রদেশের এই জায়গায় বছর বছর ভিড় করেন হাজার হাজার পর্যটক। একটি লেককে ঘিরে গড়ে ওঠা নৈনিতাল শহর সত্যিই মনোমুগ্ধকর। একইসঙ্গে এই ট্যুরে সেরে নিতে পারেন আলমোড়া, রানিখেত, পাতাল ভুবনেশ্বরের মতো দ্রষ্টব্য স্থানগুলি। পাতাল ভুবনেশ্বরের গুহায় নামার যে রোমাঞ্চকর অনুভূতি তা নিজে না অনুভব করলে বুঝবেন না।

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিমলা-কুলু-মানালী : গরমে পর্যটকদের আরও এক ফেভারিট গন্তব্য হল সিমলা কুলু মানালী। হিমাচল প্রদেশের এই স্থানে দেখার জন্য রয়েছে রোটাং পাস, সোলাং ভ্যালি, বিয়াস নদী, মনিকরণসহ আরও প্রচুর জায়গা। যাঁর গোটা পরিবার নিয়ে যান তাঁরা ছাড়াও হানিমুন কাপলদের কাছেও অন্যতম রোম্যান্টিক স্পট এই সিমলা কুলু মানালী। 

উটি : এতো গেল উত্তরের কথা, যদি মন চায় দক্ষিণে যেতে, তাহলে বেছে নিতে পারেন উটিকে। তামিলনাড়ুর নীলগিরি পর্বতমালার বুকে অবস্থিত এই উটি শহর। এখানকার উটি লেক, এমারেল্ড হ্রদ, বোট্যানিক্যাল গার্ডেন, দোদাবেতা চূড়া, কালহাট্টি জলপ্রপাতের মতো দ্রষ্টব্য স্থানগুলি আপনার চোখ জুড়িয়ে দেবেই। 

আরও পড়ুনসরকারি খরচেই এবার IVF চিকিত্‍সা, SSKM-এ চালু নয়া পরিষেবা

 

Advertisement