ঘামের গন্ধে অতিষ্ঠ? তাহলে আগে জেনে নিন সমস্যার কারণ এবং তারপর জানুন এর সমাধান। জেনে অবাক হবেন যে ঘামের গন্ধ আপনাকে বিরক্ত করে, সেই ঘাম আসলে গন্ধহীন। তাহলে ঘামের গন্ধ কেন হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক। ত্বকের নিচের বিশেষ গ্রন্থি থেকে তৈলাক্ত ক্ষরণের কারণে গন্ধ অনুভূত হয়। এই গ্রন্থিগুলি বেশিরভাগই বগলের নীচে থাকে এবং কখনও কখনও বেশ সক্রিয়ও থাকে।
আমাদের শরীরের বেশিরভাগ অংশ বিশেষ ঘাম গ্রন্থি দ্বারা আবৃত থাকে, যেগুলিকে বলা হয় 'ইক্রাইন' ঘাম গ্রন্থি। সেগুলি থেকে গন্ধহীন জল ক্ষরণ হয়। এছাড়াও আমাদের শরীরে অন্যান্য ধরনের ঘাম গ্রন্থি রয়েছে, যেগুলোকে 'অ্যাপোক্রাইন' ঘাম গ্রন্থি বলা হয়। এই গ্রন্থিগুলি লোমযুক্ত এলাকায় থাকে। সেগুলি থেকে তৈলাক্ত যৌগ বের হয়। এই গ্রন্থিগুলি চাপ, ভয়, উদ্বেগ, ব্যথা এবং যৌন উত্তেজনার সময়ে আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে।
গন্ধ কেন হয়?
এই গ্রন্থিগুলি থেকে নির্গত তৈলাক্ত নিঃসরণগুলির কোনও গন্ধ নেই, তবে এগুলি হল আমাদের ত্বকে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য। ব্যাকটেরিয়া এই ঘামকে ফ্যাটি অ্যাসিডে রূপান্তর করে এবং এমন যৌগ তৈরি করে যা গন্ধ বন্ধ করে।
আমরা যে গন্ধ পাই তার জন্য জেনেটিক্স একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। যেহেতু আমাদের অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থিগুলি আবেগ, চিন্তাভাবনা এবং জীবনযাত্রায় প্রতিক্রিয়া জানায়, তাই সেগুলি গন্ধকে প্রভাবিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, নির্দিষ্ট ধরণের খাবার যেমন রেড-মিট, গন্ধ পরিবর্তন করতে পারে। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই বগলের লোম দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। অ্যাপোক্রাইন ঘাম গ্রন্থি সাধারণত বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত সক্রিয় থাকে না। সেই কারণেই যখন আমরা ছোট থাকি, তখন দুর্গন্ধ অনুভব হয় না। হরমোন উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে এই গন্ধও পরিবর্তিত হয়।
কীভাবে ঘামের গন্ধ থেকে মুক্তি?
প্রতিদিন স্নান করলে ঘামের গন্ধ কমে যায়। অ্যান্টিপারস্পাইরেন্টগুলি গ্রন্থি দ্বারা নিঃসৃত ঘামের পরিমাণ কমায়। ডিওডোরেন্টও গন্ধ দমন করে। এছাড়া সুতির জামাকাপড় পরলে ঘাম কম হয়, দুর্গন্ধও কমে। তাই জামাকাপড় পরিষ্কার রাখুন, জীবন চাপমুক্ত করুন এবং ক্যাফিন গ্রহণ কমিয়ে দিন। কারণ ক্যাফিন বা কিছু ওষুধ ঘাম বাড়াতে পারে।
আরও পড়ুন - ৮ সন্তানের মায়ের Video Viral, ফিটনেসের রহস্য জানেন?