চুল পরিষ্কার করতে শ্যাম্পুর দরকার হয়। তবে প্রয়োজন হলেই যেকোনও সময় যে চুল ভিজিয়ে শ্যাম্পু করার সুযোগ মিলবে, তেমনটা না-ও হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে চটজলদি স্প্রে করে নিতে পারেন ড্রাই শ্যাম্পু বা শুখনো শ্যাম্পু। চুলের ময়লা আর তেল চিটচিটে ভাব দূর হবে ঝটপট। চুল দেখাবে সতেজ।
সময় বাঁচাতে কিংবা জ্বর হলে সময় জলের ব্যবহার এড়াতে ড্রাই শ্যাম্পু দারুণ কার্যকর। সারা দিনের কাজ শেষে নিজেকে সতেজ দেখাতে চাইলে, আর্দ্র আবহাওয়ায় থাকলে কিংবা ব্লো করা স্টাইলের স্থায়িত্ব বাড়াতে ড্রাই শ্যাম্পু দিতে পারেন। তবে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করুন কেবল প্রয়োজন হলেই।
ব্যবহারের আগে জেনে নিন
১. চুল থেকে ইঞ্চি ছয়েক দূর থেকে স্প্রে করতে হবে ড্রাই শ্যাম্পু। প্রয়োজনমতো স্প্রে করে নিয়ে আঙুলের সাহায্যে মাথার ত্বকে এবং চুলে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
২. একটানা দুদিনের বেশি ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত নয়। যদি সপ্তাহে বেশ কয়েকবার ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করেন, তাহলে একটানা তিন মাসের বেশি তা ব্যবহার করা যাবে না। একটানা ব্যবহার করলে চুল ভেঙে যাবে।
কিনতে চাইলে
ভালো কসমেটিকসের দোকানে পেতে পারেন ড্রাই শ্যাম্পু। কোনও ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল ঘন দেখায়, কোনোটি আবার অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব কমাতে সাহায্য করে। কোনও কোনও ড্রাই শ্যাম্পু আবার রঙ করা চুলের রঙের ওপরও প্রভাব ফেলে। তাই কেনার সময় ভালোভাবে জেনে নিন, যে শ্যাম্পু কিনছেন, তা আপনার উপযোগী কি না।
সতর্ক থাকুন
সহজে ব্যবহার করা যায় বলে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ড্রাই শ্যাম্পু। তবে তা কেবল সাময়িক এক সমাধান, কখনোই জলের বিকল্প নয়। জল দিয়ে নিয়মিত মাথা ধোয়া না হলে চুলের গোড়ায় ময়লা জমতে থাকে। তাই ড্রাই শ্যাম্পু কখনই সাধারণ শ্যাম্পুর বিকল্প হতে পারে না।
আরও পড়ুন-হার্ট অ্যাটাকের পর স্টেন্ট বসলে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি, সুস্থ হবেন তাড়াতাড়ি