Gajaldoba View Point: দার্জিলিং, কালিম্পং শুধু নয়, এবার কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শনের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে গজলডোবার 'ভোরের আলো' পর্যটন কেন্দ্র থেকেই। একই সঙ্গে নীচের দিকে তাকালে দেখতে পাবেন, পাখির মেলা আর দূরে ঝকঝকে দাঁড়িয়ে রয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। এই অপূর্ব দৃশ্য দেখানোর বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু হতে চলেছে খুব দ্রুত। প্রশাসনের তরফ থেকেই এই বন্দোবস্ত হতে চলেছে।এবার শীতে এখানে ঘুরতে এলে এই যুগপৎ দর্শন সম্ভব হবে। এই এলাকায় ঘুরতে আসা আরও বেশি সমৃদ্ধ হতে চলেছে। তবে পুজোর মধ্যে এলে অবশ্য পাখি দেখতে পাবেন না। কারণ পরিযায়ী পাখিদের আসার এখনও সময় হয়নি। বাকি কপাল ভালো থাকলে আর আকাশ পরিষ্কার থাকলে, কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন সম্ভব বছরের যে কোনও সময়।
দার্জিলিং মেলের চারপাশে যে রকম ভোরের সূর্যোদয় দেখার জন্য ভিউ পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে, ঠিক একইভাবে গজলডোবার ভোরের আলো ট্যুরিজম হাবে পাখি বিতান এবং অভয়ারণ্যের জলাশয়ে পাখি পর্যবেক্ষণের জন্য তৈরি করা হয়েছে ১০টি নতুন ভিউ পয়েন্ট। এর মধ্যেই ৪ টি ভিউ পয়েন্ট তৈরি করা সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে, বাকি ৬ টির কাজ চলছে। তিস্তার বাঁধের পাশের জলাশয়ে রয়েছে একটি প্রাকৃতিক জলাভূমি। বড় বড় ঘাস ভেদ করে নৌকা বিহার এখানে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। তার সঙ্গে যদি বাড়তি হিসেবে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় তাহলে সোনায় সোহাগা।
মাল এবং রাজগঞ্জ ব্লকের অন্তর্গত এই পাখি অভয়ারন্যে ২৫৩২.৫৩৫ একর জলাশয় জঙ্গল নিয়ে পাখি বিতান এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য করা হয়েছে। এই পক্ষীর অভয়ারণ্যের চারিদিকে একাধিক জঙ্গল। মহানন্দা, বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলে ঘেরা এই অপরূপ নির্জন এলাকাকে পর্যটন উপযোগী করে তোলার প্রথম উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরই উদ্যোগে এবং তৎকালীন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের তত্বাবধানে পুরো পর্যটন প্রকল্পটি তৈরি করা হয়। তারপর থেকেই এই এলাকা শেষ এক দশকে উত্তরোত্তর জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
শীত পড়তে না পড়তেই এখানে প্রায় ৫০০ প্রজাতির পাখি আনাগোনা করে। সাইবেরিয়ান পাখির দল নভেম্বরের শুরুতেই আসতে শুরু করে। আবার মার্চের গোড়ায় তারা ফিরে যায়। তবে সারা বছর কিছু পানকৌড়ি ও কয়ের প্রজাতির হাঁস ও স্থানীয় নানা পাখির কয়েকটি প্রজাতি থাকে। সেগুলি দেখা যায়। তবে সৌন্দর্য দেখতে হলে শীতকালীন সময়ই সেরা। এবার ভিউ পয়েন্ট তৈরি হয়ে গেলে আরও ভালভাবে দেখা, ক্যামেরাবন্দি করা যাবে।