Weight Loss Easy Tips: ওজন কমানোর জন্য মানুষ প্রথম যে কাজটা করে তা হল 'খাবার খাওয়া ছেড়ে দেওয়া'। ওজন কমানোর জন্য মানুষ সব কিছু খাওয়া বন্ধ করে স্যালাড বা হালকা খাবার খেতে শুরু করে। যদিও এটা করা অন্যায়।
তবে বিজ্ঞান বলে ওজন কমাতে হলে খাবার ত্যাগ করার দরকার নেই। বরং ব্যালেন্সড ডায়েট বা সুষম খাদ্য প্রয়োজন। ব্যালেন্সড ডায়েট হল এমন একটি যাতে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, প্রোটিন এবং ফাইবার সঠিক পরিমাণে থাকে। এর সঙ্গে, আপনি যে ডায়েট গ্রহণ করছেন, তা পুষ্টিতে সমৃদ্ধ হওয়া উচিত। সম্প্রতি একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে কোন সময়ে খাবার খেলে ওজন কমানো যায়।
ওজন কমানোর জন্য কখন খাওয়া উচিত?
ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা বলছেন, যখন কেউ ক্ষুধার্ত থাকে, তখন যদি খাবার খাওয়া হয়, তাহলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। গবেষণা অনুসারে, যাঁরা ক্ষুধার্ত হলেই খাবার খান, তাঁদের ওজন কমার সম্ভাবনা বেশি। যাঁরা খুব কম খান, তাঁদের থেকে তাঁরা ভাল বোধ করেন।
গবেষকরা জানিয়েছেন, আটটি দেশের ৬ হাজারের বেশি প্রাপ্তবয়স্ককে এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়েছিল এবং বডি মাস ইনডেক্স (BMI)ও পরীক্ষা করা হয়েছিল। গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের খাওয়ার ধরন তিনটি উপায়ে পরিমাপ করা হয়েছিল। ক্ষুধার্ত হলে খাওয়া, আবেগপ্রবণ হয়ে খাওয়া এবং খুব কম খাওয়া।
কেউ যদি স্ট্রেস বা দুঃখ বোধ করেন, তবে তিনি আবেগপূর্ণ আহার (ইমোশনাল ইটিং) করেন। অন্যদিকে, কেউ যদি ক্যালোরি মেপে খাবার খান, তবে তিনি খাওয়ার সময় কড়া নিয়ম মেনে চলেন। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যাঁরা ক্ষুধার্ত হলেই খান, তাঁদের ওজন দ্রুত কমে যায় এবং একই সঙ্গে তাঁদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।
ডায়েটিং কার্যকর নয়
নিউ জার্সির রুটগার্স ইউনিভার্সিটির প্রধান গবেষক ডঃ শার্লট মার্কির মতে, অনেকে পরামর্শ দেন যে আপনি যদি ক্ষুধার্ত বোধ করেন, আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তবে আপনার খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু এটা যে মত না। ক্ষুধার্ত হলেই যদি খাবার খান তাহলে শরীর ভাল থাকবে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।
এই গবেষণাটি প্রমাণ করে যে ডায়েটিং শুধুমাত্র ওজন কমানো এবং শরীরের সন্তুষ্টির জন্য কার্যকর নয়। এর বিপরীত প্রভাবও হতে পারে। প্রত্যেকের ক্ষুধার্ত হলেই খাওয়া উচিত, নতুন প্রবণতা ছাড়া এটি ওজন কমাতে আরও ভাল বাবে সাহায্য করবে।
ব্রিটিশ জার্নাল অফ হেলথ সাইকোলজিতে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, কেউ যদি ক্ষুধার্ত অবস্থায় খাবার না খায়, তাহলে তাঁদের রাগ ও বিরক্তি বাড়তে পারে।