স্থূলতাকে (Obesity) নিঃসন্দেহে রোগের ক্যাটাগরিতে রাখা হয় না, তবে চিকিৎসার ক্ষেত্রে দেখা গেলে এটি কোনও রোগের চেয়ে কম নয়। মোটা হওয়ার কারণে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো রোগ হয়। এটি অনেক গবেষণায় প্রকাশ করা হয়েছে যে স্থূলতার কারণে ১৩ ধরণের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ওজন কমাতে (Weight Loss) মানুষ অস্ত্রোপচার করে। লাখ টাকা খরচ করে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে কয়েকটি পানীয়ই স্থূলতা থেকে মুক্তি দিতে পারে। শুধু আপনার খাদ্যতালিকায় নিয়মিত এগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
গ্রিন টি (Green Tea)
গ্রিন টি-তে ক্যাটেচিন পাওয়া যায়। এটি ওজন কমাতে কাজ করে। এই উপাদানটিকে বলা হয় এপিগ্যালোকাটেচিন গ্যালেট। এর সুবিধা হল মেটাবলিজম ভাল হয়। এটি স্থূলতা কমাতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়ায়। মুখে উজ্জ্বলতা বজায় থাকে।
আরও পড়ুন: Side Effects of Night Shift: নাইট শিফটে কাজ করে শরীরের বারোটা বেজেছে? এগুলি করলেই চাঙ্গা থাকবেন
লেমন ড্রিংকস (Lemon Drink)
লেমন ড্রিংকস পরিপাকতন্ত্র মেরামত করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। একই সময়ে লেবু জলকে ডিটক্স ড্রিংক হিসেবে দেখা হয়। শরীরের এই অতিরিক্ত ক্যালরি পুড়ে যায়। লেবুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পেকটিন ফাইবার। এটি শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে কাজ করে। এটি দ্রুত চর্বি গলাতে শুরু করে।
অরেঞ্জ ড্রিংক (Orange)
ওরেঞ্জ জুসকে ডিটক্স ওয়াটার হিসেবে দেখা হয়। এটি মেটাবলিজম বাড়াতে কাজ করে। কমলালেবুর রস খেলে চর্বি দ্রুত কমে। রুটিনে কমলা লেবুর রস অন্তর্ভুক্ত করা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও উন্নত করে।
মেথি (Fenugreek)
মেথি ভেজানো জলও ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে মেথি ভেজানো জল খাওয়া যেতে পারে। এজন্য মেথি সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই জল ছেঁকে খালি পেটে খান।
বাটারমিল্ক (Buttermilk)
ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাসিলাস বাটারমিল্কে পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া হজম উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি অন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। গ্রীষ্মকালে প্রতিদিন বাটারমিল্ক খেলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে।