এখনকার শিশুরা খুব অল্প বয়সেই মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। এর কারণ বাবা-মায়ের আদর-স্নেহ। আসলে, বাচ্চারা যখন অল্প বয়সে থাকে, তখন বাবা-মা তাদের ভোলাতে বা মজা করার জন্য ফোন ধরিয়ে দেন, যা ঠিক নয়। কমন সেন্স মিডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ১০ বছর বয়সে ৪২ শতাংশ শিশুর হাতে স্মার্টফোন রয়েছে। ১২ বছর বয়সের কিশোরদের মধ্যে ৭১ শতাংশ, ১৪ বছর বয়সের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে ৯১ শতাংশের হাতে একটি মোবাইল ফোন থাকে।
আপনি যদি আপনার সন্তানের প্রতি অনেক বেশি যত্নশীল হন, তাহলে আপনার জেনে রাখা উচিত সন্তানকে স্মার্টফোন দেওয়ার সঠিক বয়স কত।
আরও পড়ুন: Raw Mango Benefits: সুগার-কোলেস্টেরলে 'মোক্ষম' কাঁচা আম, আর কী কী উপকার?
শিশুর জন্য একটি স্মার্টফোন কখন প্রয়োজনীয়?
অনেক অভিভাবক নিরাপত্তার কথা ভেবে সন্তানদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন যে শিশুটি যখন সমস্যায় পড়ে তখন সে যোগাযোগ করতে পারবে। চাকরিজীবী বাবা-মায়েরা প্রায়ই এটি করেন। কারণ তাঁদের সন্তান স্কুলের পর কিছু সময় বাড়িতে একা থাকে। কিছু অভিভাবক বাচ্চাদের বিভ্রান্ত করার জন্যও ফোন ধরিয়ে দেন। যা মোটেও ঠিক নয়।
কেন শিশুদের মোবাইল ফোন দেওয়া উচিত নয়?
আজকাল ইন্টারনেটের কারণে শিশুরা ফোনে যে কোনও কিছু অ্যাক্সেস করতে পারে। যা তাদের বয়স অনুযায়ী বিপজ্জনকও হতে পারে। খুন, হিংসা, পর্ন, দুর্ঘটনা এবং এ ধরনের অসংখ্য ভিডিও শিশুদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। শিশুদের মন বুদ্ধিহীন, তাই শুরুতে নতুন কিছু দেখতে পেলে তাতে আগ্রহ বাড়তে পারে। তাই এ ধরনের বিপদ থেকে দূরে থাকতে শিশুদের স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখতে হবে। মোবাইলের কারণেও ঘুমের সমস্যা হতে পারে। শিশুরাও সাইবার ক্রাইম, গুন্ডামি এবং ব্ল্যাকমেইলিংয়ের জালে পড়তে পারে।
বাচ্চাদের কখন স্মার্টফোন দেওয়া উচিত?
স্মার্টফোনের ক্ষতি এবং উপকারিতা সম্পর্কে শিশু যদি বুঝতে পারে, তবে এটা বোঝা উচিত যে সে স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য তৈরি। কিন্তু যদি সে আপনার কথা এড়িয়ে যায় এবং কথা শুনতে নারাজ হয়। তাহলে বুঝতে হবে যে সে এখনও এর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। আজকাল, ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সের ছেলে-মেয়েদের হাতে মোবাইল ফোন থাকে। আপনিও যদি এই বয়সে আপনার সন্তানকে একটি ফোন দিয়ে থাকেন, তাহলে সেই সমস্ত অ্যাপ এবং ওয়েব সার্চ লক করে দিন, যার তার প্রয়োজন নেই।
যা যা করতে হবে