Monsoon Dooars Jungle Tour: ডুয়ার্সের জঙ্গল প্রতি বছরের মতো টানা ১৫ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে আবার খুলে দেওয়া হবে পর্যটকদের জন্য। ফলে জঙ্গলপ্রেমীদের অনেকেই মন খারাপ।
কিন্তু অনেকেই জানেন না পর্যটকদের জন্য জঙ্গল বন্ধ থাকলেও লাগোয়া কিছু অংশ ঘোরার জন্য ছাড় দেওয়া হয়ে। বর্ষায় তাই ঘুরতে গেলে তাই জঙ্গল উপভোগ করা থেকে বঞ্চিত হতে হয় না।
পর্যটকদের জন্য জঙ্গল বন্ধ থাকলেও লাগোয়া কিছু অংশ ঘোরার জন্য ছাড় দেওয়া হয়ে। তাতে কোর এলাকায় প্রবেশ করতে না পারলেও জঙ্গল ভ্রমণের স্বাদ নিতে পারবেন পর্যটকরা। উপভোগ করতে পারবেন বর্ষার ডুয়ার্সের জঙ্গল।
ডুয়ার্সের হর্নবিল জঙ্গল ক্যাম্প, টুকটুকি ওয়াচ টাওয়ার, কালিকাপুর জঙ্গল ক্যাম্প, ধুপঝোরা ইকো ট্যুরিজম ক্যাম্প, পানঝোরা জঙ্গল ক্যাম্প ইত্যাদি জায়গাগুলি খোলা থাকে ক্যাম্প করার জন্য।
এছাড়াও ফরেস্ট ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন এবং পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইটে সমস্ত জায়গায় থাকার জন্য রিসর্ট, নেচার ক্যাম্পগুলি পেয়ে যাবেন। বুকিংও পেয়ে যাবেন সহজেই। তবে চাহিদা প্রচুর থাকায় কয়েক মাস আগে থেকেই বুকিং হয়ে যায়।
কোনও পর্যটক যদি বর্ষায় ডুয়ার্স ঘুরতে যান, তাহলে অবশ্যই আগে থেকে জেনে নিতে হবে এইসব জায়গাগুলো কবে খোলা থাকবে এবং আদৌ খোলা আছে কিনা। সেই অনুযায়ী ট্যুর প্ল্যান করলে উপভোগ করতে পারবেন।
তবে ভরা বর্ষায় এখানকার বেশিরভাগ নদী যেমন লিস, ঘিস, জলঢাকা সহ একাধিক নদী জলে ভরে ওঠে। বর্ষাকালে খরস্রোতা নদী থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে। তাই খোঁজ নিয়ে প্ল্যান করুন, নদীর সংস্পর্শ থেকে একটু দূরে থাকাই ভাল।
পর্যটকদের জন্য টানা তিন মাস উত্তরবঙ্গের গরুমারা জাতীয় উদ্যান, চাপড়ামারি, জলদাপাড়া, বক্সা, নেওড়া ভ্যালি ইত্যাদি জঙ্গলের মূল জঙ্গলের দরজা বন্ধ। জঙ্গল সাফারিও এই তিনমাস করা যায় না। তবে আশপাশে ঘোরার জায়গা রয়েছে। দিব্যি জঙ্গলের গায়ে গা লাগিয়ে কটা দিন কাটিয়ে আসতে পারেন।