পুজোর বাজনা প্রায় বেজেই গিয়েছে। যতই আকাশের মুখ কালো হোক না কেন, মনে মনে ঠিক জানা আছে, সময়মতো ঠিক মেঘ কেটে গিয়ে রোদ উঠবে। তাই টিকিট কাটা শুরু হয়ে গিয়েছে ট্রেনের। ব্যাগ গুছিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতিও সারা। কিন্তু যাবেন কোথায়?
যদি ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে নতুন জায়গায় সময় কাটাতে চান, তাহলে আপনার জন্য সেরা জায়গা হতে পারে শিবখোলা। কার্শিয়াংয়ের এই জায়গা শিলিগুড়ি থেকে খুব কাছে। কিন্তু দুর্দান্ত লোকেশন। এখানে লোকে যান পাহাড়ি নদীতে গা ভিজিয়ে স্নান করতে।
চারিদিকে কোলাহল দূষিত পরিবেশে আপনি কি ক্লান্ত? তাহলে আপনার জন্য শান্তির ঠিকানা হতেই পারে কার্শিয়াং এর শিবখোলা । এখানে এলে প্রকৃতির বিশুদ্ধ বাতাসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে।
শান্ত পরিবেশে ঝরনার কলকল ও ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ কানে নিয়ে কাটিয়ে দিতে পারবেন রাত। তাই চিরাচরিত গন্তব্য ছেড়ে কিছুটা সময় কাটিয়ে যান কার্শিয়াংয়ের শিবখোলাতে।
চিরাচরিত দার্জিলিং ও কালিম্পং থেকে যারা কিছুটা শান্ত পরিবেশে প্রকৃতির মাঝে বিশুদ্ধ বাতাসে নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটাতে চান তাদের জন্য নতুন ঠিকানা কার্শিয়াংয়ের শিবখোলা।
শিলিগুড়ি শহর থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার। সুকনা থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে। আঁকাবাঁকা খাড়া পাহাড়ি পথ অতিক্রম করলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে শিবখোলায়।
এখানে এলে মিলবে মনোরম শান্ত পরিবেশ আর সারা বছরই ঠান্ডা শিরশিরে অনুভূতি। সঙ্গে মনোমুগ্ধকর পাহাড়ি খরস্রোতা নদীর কলরব। একপাশে খাড়া পাহাড় নেমে গেছে। পাহাড়ের খাত দিয়ে বয়ে আসছে তিরতিরে শিবনদী। পাহাড়ের ভাষায় শিবখোলা।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫২৭ ফুট উচ্চতায়, শিবখোলা একটি দর্শনীয় স্থান। নির্ঝর শিবখোলা নদী পাথর এবং পাথরের মধ্য দিয়ে পথ তৈরি করছে, স্থানটির প্রধান আকর্ষণ হল এর মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ২৭ কিমি দূরে চারদিকে সবুজ বনের কারণে জলবায়ু খুবই মনোরম। শিবখোলাকে ঘিরে থাকা সুন্দর চা বাগানগুলি আপনাদের নিয়ে যাবে অন্য জগতে। বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ এবং প্রাণীর আস্তানা এখানে, যা শিবখোলাকে বন্যপ্রাণপ্রেমীদের জন্যও একটি প্রিয় গন্তব্য করে তোলে। এটি পাখি দেখার জন্য একটি আদর্শ জায়গা।
এখানকার ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফারদের জন্য শিবখোলা একটি আদর্শ বিকল্প। কেউ শিবখোলা নদীতে মাছ ধরার জন্য়ও বাইক-গাড়ি নিয়ে যান আশপাশের লোকজন। শিবখোলা থেকে ছোট ট্রেক রুটও বেরিয়েছে। মহানন্দা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থিত নিকটতম স্থান "লাটপাঞ্চার" পরিদর্শন করা যায়। পর্যটকরাও অবসর সময় কাটাতে পারেন নদীতে।