গরমে অনেকেই এখন সিকিমমুখী। আর সিকিম মানেই নজরকাড়া সব লেক। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণের হিন্দু-বৌদ্ধ দুই ধর্মের কাছেই অত্য়ন্ত পবিত্র। এই লেক দেখতে ছুটে যান পর্যটকরা।
পাহাড়ের কোলে বরফে মোড়া এই ট্যুরিস্ট স্পটের আকর্ষণে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা। বছরের কয়েকটা মাস বাদ দিয়ে বাকি সময় বরফে ঢাকা থাকে এই এলাকা।
কিন্তু, চলতি মরশুমে সিকিমে বেড়াতে গিয়ে মনখারাপ পর্যটকদের। এবারে আর বেড়ানো যাচ্ছে না গুরুদংমার লেক। আসুন জেনে নিই, কেন এই এই নিষেধাজ্ঞা?
জানা গিয়েছে, নিরাপত্তার কারণে পর্যটকদের এই মুহূর্তে গুরুদংমার লেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সিকিম প্রশাসন।
গত অক্টোবর মাসে হিমবাহ ফেটে ভয়াবহ ধস এবং মেঘ ভাঙা বৃষ্টি নেমেছিল এই লেকে। সিকিমের সেই দুর্যোগের জেরে দীর্ঘদিন পর্যটন ব্যাহত হয়েছে।
রাস্তা খারাপ থাকায় সিকিমে পৌঁছতে পর্যটকদের ঘুরপথে ঝামেলা-ঝক্কি করে তারপর পৌঁছতে হয়েছে। চলতি মরশুমেও আবহাওয়া খারাপই রয়েছে। বারবার ব্যাহত হয়েছে যাতায়াত।
কেবলমাত্র গুরুদংমারই নয়, মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে গরমের ছুটি কাটাকে বহু সংখ্যক পর্যটক ভিড় জমান লাচেন এবং লাচুংয়েও। এবারও রাস্তা খুলে যাওয়ার পর লাচুংয়ে উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। অন্যদিকে বন্ধ থাকায় ফাঁকা লাচেন। সেখানে যাওয়ার সেতুও ভেঙে গিয়েছিল। সেখানকার জনপ্রিয় গুরুদংমার লেকে কোনও পর্যটককে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
মঙ্গনের জেলাশাসক হেমকুমার ছেত্রী জানিয়েছেন, 'যাতায়াত ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি থাকায় আমরা লাচেনে কোনও পর্যটককে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছি না। কেবলমাত্র স্থানীয় লোকজনকেই সেদিকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে গুরুদংমার পর্যন্ত রাস্তা ঠিক রাখা যায়। তবে যেহেতু লাগাতার ধসের জেরে এই রাস্তা বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে তাই ঝুঁকি এড়াতে আপাতত সেদিকে কাউকে না পাঠানোর সরকারি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।