Chartered Toy Train Craze: রেলসূত্রের খবর, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর টয় ট্রেনের (Darjeeling Toy Train) চাহিদা অনেকটাই বেশি। সাধারণ কিংবা টয় ট্রেনে চড়ে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং (Siliguri To Darjeeling) যাওয়া তো আছেই, বিশেষ করে চার্টার্ড ট্রেনের চাহিদা বাড়ছে। রেল কর্তারা জানিয়েছেন, এ বছর আয়ও গত বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি হয়েছে। আশা করছেন তাঁরা, চলতি আর্থিক বছরের শেষে ডিএইচআর (DHR) নিজেদের রেকর্ড নিজেরাই ভেঙে দেবে।
টয়ট্রেনকে জনপ্রিয় করতে এবং এর হেরিটেজ তকমা ধরে রাখতে রেলের পক্ষ থেকে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। টয় ট্রেনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় প্রথমেই প্রচারে জোর দেয় দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (ডি এইচ আর) কিন্তু এতে তেমন লাভ না হওয়াতে পাহাড়ে বছরে দুবার ঘুম ফেস্টিবেল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলবোর্ড। এই উৎসবে স্থানীয় সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দেওয়া হয় বেশি। যা পর্যটক আকর্ষণের অন্যতম হাতিয়ার ছিল। আর এতেই পর্যটকেরা ছুটে আসছেন বলে রেলের ধারণা।
আগে বিদেশি পর্যটকদের দল চার্টার্ড টয়ট্রেন ভাড়া নিত বেশি। কিন্তু এখন দেশি পর্যটকেরাও চার্টার্ড টয়ট্রেন ভাড়া নিচ্ছে। জানা গিয়েছে গত মাসে অর্থাৎ নভেম্বরে দুটি চার্টার্ড ট্রেন ভাড়া করা হয়েছিল। ডিসেম্বরেও সাধারণ পাসেঞ্জারের পাশাপাশি চার্টার্ড ট্রেনও চালানো হয়েছে। কয়েকদিন আগে মহারাষ্ট্রের একটি পর্যটক দল ট্রেন চার্টার্ঢ করেছিল। বড়দিনের মধ্যে আরও বেশ কয়েকটি চার্টার্ড বুকিং রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কী এই চার্টার্ড?
গোটা ট্রেনটাই ভাড়া করে নেওয়ার অর্থ হল টয়ট্রেন চার্টার্ড করা। সাধারণত বড় টিম থাকলে তাঁরা ট্রেন চার্টার্ড করেন। তাতে সুবিধা রয়েছে নানা রকম। প্রথমত আপনাদের গ্রুপের লোক ছাড়া কেউ তাতে উঠবে না। ফলে নিজেদের মতে ট্রেন ব্যবহার করতে পারবেন। পাশাপাশি ট্রেনকে কোনও নির্দিষ্ট স্টেশনে দাঁড়াতে হবে তাও নয়। ইচ্ছে করলে বাড়তি কোনও সুন্দর জায়গাতেও ট্রেন কিছুক্ষণ দাঁড় করাতে পারেন। তবে তা আগে বা পরে কোনও ট্রেন রয়েছে কি না তার উপর নির্ভর করবে।
কীভাবে ভাড়া করবেন?
এই ধরণের ট্রেন ভাড়া করতে হলে আগাম বুক করতে হবে। অনলাইনে বা যে কোনও ডিএইচআর কাউন্টারে বুক করতে পারেন। শিলিগুড়ি থেকে গেলে এনজেপি স্টেশন থেকে করতে হবে। আইআরসিটিসি কিংবা ডিএইচআরের যে কোনও পোর্টাল থেকে বুক করা যাবে।
দার্জিলিং পাহাড়ে শুরু হয়েছে ঘুম উৎসব (Ghum Festival)। শনিবার ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই নিয়ে তৃতীয়বার শৈলশহরে আয়োজিত করা হয়েছে চলেছে ঘুম উৎসব। পর্যটকদের মন কাড়তে গত দু’বছর ধরে এই উদ্যোগ নিয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। গত দু’বছর বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এই কার্নিভাল। এ বছরও সাফল্য আশা করেছেন স্টেক হোল্ডাররা। মূলত পর্যটন শিল্পের প্রচারের জন্য দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে এবং স্থানীয় প্রশাসন মিলে আয়োজন করে ঘুম উৎসবের। তার মধ্যেই বড় সুখবর নিয়ে এল ডিএইচ আর।
ডিসেম্বর থেকে রাতেও ছুটবে টয়ট্রেন। ঘুম উৎসব উপলক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই অনলাইন বুকিংও শুরু হয়ে গিয়েছে রাতের টয়ট্রেনের জন্য। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে সংবাদমাধ্যমকে জানান, ঘুম উৎসবের সময় প্রচুর পর্যটক ভিড় করেন পাহাড়ে। আর সেই কথা মাথায় রেখেই রাতের টয়ট্রেনের জয়রাইডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে হিমালয়ান রেলওয়ের তরফে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।