Sikkim Disaster turned Tourism: বিপর্যয় কাটিয়ে হঠাৎই ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে রাজ্যের জনপ্রিয় জায়গাগুলি খুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল সিকিম সরকার। মঙ্গলবার থেকে খুলে গিয়েছে সিকিমের ছাঙ্গু, বাবামন্দির সহ একাধিক জায়গা। এবার আরও একটি সুখবর চলে এল পর্যটকদের জন্য। সম্ভবত পঞ্চমী থেকেই শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাওয়ার জন্য ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যাতায়াত শুরু হয়ে যাচ্ছে। বিপজ্জনক জায়গা বাদ দিয়ে কোথায় কোথায় যেতে পারেন পর্যটকরা তাঁর একটা তালিকা দিয়ে দিয়েছে সিকিম সরকার। ফলে পুজোয় যাঁরা বুকিং বাতিল করার কথা ভাবছিলেন, তাঁরা চাইলে অন্যরকম ভাবতেই পারেন। অর্থাৎ বুকিং বাতিল না করলেও চলবে।
১৫ দিন বন্ধ থাকার পর খুলে যেতে চলেছে বাংলা-সিকিম লাইফ লাইন ১০ নং জাতীয় সড়ক। এমনটাই খবর মিলেছে পূর্থ দফতর সূত্রে। দেবীর বোধনের একদিন আগেই মিলতে পারে স্বস্তি। আবহাওয়া যদি নতুন করে বিরূপ না হয়, তাহলে এর অন্যথা হবে না। এমন সম্ভাবনার ইঙ্গিতই দিচ্ছেন পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা।
পূর্ত দফতরের যে সমস্ত বাস্তুকাররা সড়ক মেরামতির কাজ করছেন, তাঁরা সরকারিভাবে কিছু না জানালেও সংবাদমাধ্যমকে ইঙ্গিত দিয়েছেন, পঞ্চমী থেকেই ১০ নং জাতীয় সড়ক দিয়ে যান চলাচল চালু হয়ে যেতে পারে। পাথর, মাটি ফেলে এবং গার্ডওয়াল তৈরি করে যাতায়াতের মতে পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে। তবে পাকাপাকি রাস্তা এত তাড়াতাড়ি সম্ভব নয়। এটি আপাতত জরুরিকালীন বন্দোবস্ত। তবে এতে যাতায়াত করতে কোনও অসুবিধা হবে না। এই রাস্তা চালু হলে ছোট-মাঝারি ও হালকা গাড়ি যাতায়াত করবে। বড় ট্রাক, বাস আগের মতো ঘুরপথেই যেতে হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে এতেও অনেকটা স্বস্তি ফিরবে।
সেবক ও তিস্তার মাঝে কালিঝোরা এবং লিকুভিরে ধসের জেরে দীর্ঘ দিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে জাতীয় সড়ক। যার কারণে শিলিগুড়ির সঙ্গে কালিম্পং ও সিকিমের যোগাযোগ চলছে মূলত ঘুরপথে। তবে খুব সম্ভবত সেই ঝক্কি থেকে এবার মিলবে স্বস্তি। পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, অত্যন্ত দ্রুত গতিতে জাতীয় সড়ক সংস্কার চলছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নর্থ সিকিমের চুংথাংয়ে তিস্তার ড্যাম বিপর্যয়ে জলস্ফিতি বাড়ে খরস্রোতা তিস্তা নদীতে। জায়গায় জায়গায় ধসে যায় জাতীয় সড়ক। আর তার ফলেই বড় ধাক্কার মুখে পড়তে হয়েছে সিকিম ও উত্তরবঙ্গের পর্যটন ব্যবস্থাকে।
১৭ অক্টোবর থেকে খুলছে এই জায়গাগুলি
এছাড়া পুজোর আগেই পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে নাথু লা ও ছাঙ্গু লেক। সিকিম পর্যটন দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ কথা জানানো হয়েছে। ১৭ অক্টোবর অর্থাৎ তৃতীয়া থেকেই নাথু লা ও ছাঙ্গু লেক যাওয়ার জন্য পারমিট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সিকিম সরকার। প্রসঙ্গত, সিকিমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হল নাথু লা, বাবা মন্দির, ছাঙ্গু লেক। পুজোর আগে এই পর্যটন স্থলগুলি সিকিম প্রশাসন খুলে দেওয়ায় খুশি বাঙালি পর্যটকরাও। মোট কথা পূর্ব সিকিমের সমস্ত এলাকাই এখন ঘোরা যাবে। শুধু উত্তর সিকিম আপাতত খুলছে না।
কোথায় কোথায় ঘুরবেন?
পর্যটকরা চাইলে দক্ষিণ ও পশ্চিম সিকিমে ঘুরতে পারবেন বলে জানিয়ে দিল সিকিম সরকারের পর্যটন বিভাগ। সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাঁরা সিকিমে যেতে ইচ্ছুক, তাঁরা পশ্চিম ও দক্ষিণ সিকিম ঘুরতে পারেন। পাহাড়ি রাজ্যের ওই দুটি জায়গা আপাতত সম্পূর্ণ বিপন্মুক্ত। সরকারের এই বিজ্ঞপ্তিতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন কয়েকটি এলাকার পর্যটন ব্যবসায়ীরা। যদিও পর্যটকরা কতটা আসতে চাইবেন তা অবশ্য লাখ টাকার প্রশ্ন। তবে কিছু মানুষ যাঁদের সিকিমের বিভিন্ন এলাকা সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার তাঁরা আসবেন বলে আশা করছেন তাঁরা।