Darjeeling Tiger Hill Sunrise New Renovation: দার্জিলিং ভ্রমণের সবচেয়ে আনন্দদায়ক আকর্ষণের নাম টাইগার হিলে সূর্যোদয়। রাত থাকতে উঠে ঠিক সূর্যোদয়ের মুহূর্ত দেখা মানে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট। অনেক সময় গিয়েও আবহাওয়ার কারণে টাইগার হিলে সুর্যোদয়ের দৃশ্য দেখতে পান না পর্যটকরা। এবার পর্যটকরা দার্জিলিংয়ে গিয়ে প্যানোরামিক সূর্যোদয় দেখতে পাবেন। গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (GTA) টাইগার হিলে (Tiger Hill) নতুন প্যাভিলিয়ন (Pavilion) নির্মাণ করতে চলেছে। এই অত্যাধুনিক ব্যবস্থায় সূর্যোদয়ের ২৭০ ডিগ্রি ভিউ তৈরি হবে। অর্থাৎ চওড়া ভাবে সূর্যোদয় দেখতে পাবেন পর্যটকরা।
টাইগার হিলে দীর্ঘদিন ধরে একটি ছোট প্যাভিলিয়ন ছিল। যাতে কয়েকশো পর্যটক দাঁড়িয়ে সুর্যোদয় দেখতে পেতেন। পর্যটকের সংখ্যা বাড়াতে ২০১৪ সালে নতুন প্যাভিলিয়ন তৈরির কাজ শুরু হয়। যদিও নানা কারণে সেই কাজ অসমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। আর সেই কারণেই এটা ভেঙে নতুন করে প্যাভিলিয়ন তৈরি করতে চায় বর্তমান জিটিএ প্রশাসন। সোমবার জিটিএ- পর্যটন বিভাগের বৈঠকে নতুন করে আধুনিক পরিকাঠামোযুক্ত প্যাভিলিয়ন তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত জুলাইয়ে জিটিএ-র বোর্ড সভায় নতুন সিদ্ধান্তের পরে সম্প্রতি তা প্রশাসনিক ছাড়পত্র মিলেছে। নতুন প্রকল্পে ভিউ গ্যালারি, ডেক, লিফ্ট, সেন্ট্রাল হিটিং সিস্টেম, রেস্তরাঁ, ক্যাফেটেরিয়া, যোগা ও ওয়েলনেস সেন্টার, গাড়়িচালকদের বিশ্রামাগার-সহ একাধিক পরিকাঠামো তৈরি হবে। ভবনের মাথার অংশে টেলিস্কোপও বসানোর কথা রয়েছে। ভবনটির মাথায় একটি বুদ্ধমূর্তি বসানো নিয়েও আলোচনা চলছে। থাকছে এক থেকে দেড় হাডার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা।
জিটিএ-র মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শক্তিপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘‘পুরনো কাজটির গুণমান নিয়ে প্রশ্ন ছিল। প্রশাসনিক ছাড়পত্র নিয়ে কিছু অসুবিধা হয়। সূর্যোদয়ের দৃশ্যমানতা শীতে ঢাকা পড়ার আশঙ্কা ছিল। তাই পুরনো নির্মাণ ভাঙা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, নতুন প্রকল্পের কাজ পুজোর মরসুমের পর থেকে পুরোদমে শুরু হবে।
বিমল গুরুং জিটিএ প্রধান থাকার সময় আগের ভবনের কাজ শুরু হয়। প্রায় ২ কোটি টাকার কাজও হয়। কিন্তু বর্তমান বোর্ডের তরফে কাজের ধরন, মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে কাজ বাতিল করা হয়। এর পরে নতুন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জিটিএ-র আধিকারিকেরা জানান, পুরনো ভবনের নকশাতেই গলদ ছিল। শীতের সময় সূর্যোদয়ের দৃশ্য ঢেকে যাচ্ছিল। পাশাপাশি, নির্মাণের একাংশ দুর্বল ছিল বলেও অভিযোগ। বিমল গুরুং বা পুরনো জিটিএ-র বোর্ডের তরফে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।