Sandakphu Trekking Guideline: গরমে অনেকেরই পছন্দ সান্দাকফুর শীতলতা। ট্রেকিং করে, গাড়িতে যেভাবে হোক দার্জিলিংভ্রমণকারীদের অনেকেই সান্দাকফুতে ছুটছেন। ১১ হাজার ৯৩০ ফুট (৩৬৩৬ মিটার) উঁচুতে অবস্থিত সান্দাকফু এ রাজ্যের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। ফলে উষ্ণতার লেশমাত্র নেই। মে-জুনের গরমেও সুপার কুল।
কিন্তু গোল বেধেছে অন্য জায়গায়।পাহাড়ি দুর্গম এলাকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। সম্প্রতি পাহাড়ে এসে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তিন পর্যটকের। এ ঘটনায় রীতিমতো ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে পাহাড়ে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জিটিএ কর্তৃপক্ষও। তাই এবার তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় বিশেষ করে সান্দাকফুতে যেসব পর্যটক আসবেন, তাঁদের ফিটনেস সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। খুব শীঘ্রই তা চালু করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে জিটিএ’র অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম বিভাগের চিফ কো-অর্ডিনেটর সোনম ভুটিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পর্যটকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে রাজ্যের পর্যটন দফতরের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পর্যটন দফতরের সবুজ সংকেত মিললে তবেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার ব্যাপরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনই ফিটনেস পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না। তবে পর্যটকরা নিজেরাই ফিটনেস টেস্ট করে আসলে তাঁদের পক্ষে তা ভাল বলে তিনি মনে করেন। যাতে প্রায় ৩৫০০ মিটার উঁচুতে উঠে কোনও সমস্যায় না পড়তে হয়।’
রাজ্যের ছাড়পত্র এলে ওই এলাকায় একটি কেন্দ্র খোলা হবে। সেখানে পর্যটকদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পাহাড়ে যাওয়ার আগে ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি করা দরকার। ফুসফুসের অবস্থা জানার জন্য বুকের এক্স-রে এবং পালমোনারি ফাংশন টেস্ট করানো আবশ্যিক। পাশাপাশি রক্তে লোহিত কণিকা, শর্করার পরিমাণ জেনে নেওয়া প্রয়োজন। পাহাড়ে ওঠার ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্র ও ফুসফুস কতটা সক্ষম তা জানা যাবে। কিডনির সমস্যা ও রক্তে লোহিত কণিকা কম থাকলে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। এ কারণে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। ফুসফুসে সমস্যা থাকলেও শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। হাতের বাইরে চলে যেতে পারে পরিস্থিতি।
সান্দাকফু ট্রেকিংয়ে বর্তমানে প্রায় পাঁচদিন সময় লাগে। ট্রেকারদের মাথাপিছু প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ করতে হয়। টাট্টু নিষিদ্ধ হওয়ায় এখন ট্রেকারদের মালবাহক নিতে হবে এবং এর জন্য খরচ অনেকটাই বাড়বে। প্রশাসন সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানে আগে যানবাহন চলাচলের মতো রাস্তা তৈরি করে তার পরেই পনি নিষিদ্ধ করুক। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এখানে প্রায় ২০টি গ্রাম রয়েছে। ৪০টিরও বেশি হোমস্টে রয়েছে। পনি না পেয়ে ট্রেকাররা মুখ ফিরিয়ে নিলে এখানকার অর্থনীতিও মুখ থুবড়ে পড়বে।