Sikkim Disaster turned Tourism: বন্যাবিধ্বস্ত সিকিমের জন্য সুখবর। এশিয়ার তিনটি শীতলতম ডেস্টিনেশনের মধ্যে জায়গা করে নিল সিকিম। ট্রাভেল সংক্রান্ত ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের একটি সমীক্ষায় পর্যটকদের মতামতের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে খুশি পর্যটন সার্কিট। সেই সঙ্গে বিপর্যয় কাটিয়ে পর্যটকদের ফের সিকিমমুখী করতে এই তালিকা বুস্টিংয়ের কাজ করবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
সম্প্রতি ন্যাশানাল জিওগ্রাফির তরফে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছে, আগামী বছর পর্যটকদের শীতলতম গন্তব্যগুলির মধ্যে অন্যতম হতে চলেছে সিকিম। সিকিমে সারা বছরই থাকে পর্যটকদের ভিড়। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হওয়ার জন্য অনেকেই এই গন্তব্যে পাড়ি দিয়ে থাকেন। এবার সিকিমপ্রেমীদের জন্য দুর্দান্ত সুখবর। সমীক্ষায় বলা হয়েছে সিকিম পর্যটকদের ক্ষেত্রে অন্যতম শীতল ডেস্টিনেশন হতে চলেছে!
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবাংলার মানুষের কাছে দার্জিলিংয়ের পরই সিকিমের আকর্ষণ। যাঁরা ঘুরতে আসেন, তাঁরা একঢিলে সিকিম ও দার্জিলিংকে নিজেদের পর্যটন ইটিনারির মধ্যে রাখেন। দার্জিলিংয়ের মতোই সিকিমের বিভিন্ন জায়গা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার শোভা চাক্ষুষ করা যায়। সেই সঙ্গে নিজস্ব ফ্লেভার ও সৌন্দর্য রয়েছে এই শৈলরাজ্যের।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সমীক্ষায় সিকিমের নাম ওঠা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। কেননা অপ্রতুল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর হিমালয়ের কোলের এই রাজ্যটি। হিমালয়ের তৃতীয় শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা এমনভাবে বেষ্টন করে রয়েছে, যেন মনে হবে স্বয়ং গৌতম বুদ্ধ শয়ন করছেন। এছাড়া একাধিক হ্রদ, পাহাড়, পাহাড়ের মধ্যে আঁকা-বাঁকা পথ সিল্ক রুট, উজ্জ্বল রঙের বাহারি ফুলের বাগানের প্রাকৃতিক শোভা যেমন রয়েছে, তেমনই বরফে আবৃত গুরুদম্বার, লাচুং, লাচেংয়ের মতো স্থান রয়েছে। আবার প্রকৃতির মধ্যে হাঁটার মজা নিতে রয়েছে পেলিংয়ের মতো স্থান। এছাড়া ট্রেকিং, প্যারাগ্লাইডিং-সহ নানান রোমাঞ্চকর ইভেন্টেরও সাক্ষী হতে পারেন সিকিমে এসে। সবমিলিয়ে, সিকিমের অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক নামজাদা গন্তব্যকেও পিছনে ফেলে দেয়। তাই শীতলতম স্থানে বেড়ানোর প্ল্যান করার থাকলে সিকিমের কথা ভেবে দেখা যেতেই পারে।
সিকিম ছাড়াও তালিকায় কারা?
ন্যাশানাল জিওগ্রাফির সার্ভে রিপোর্ট বলছে, আগামী বছর শীতলতম গন্তব্যগুলির অধিকাংশই হতে চলেছে ইউরোপীয় মহাদেশে। সেখানকার একাধিক জায়গার নাম তালিকায় উল্লেখ রয়েছে। এশিয়ার মাত্র তিনটি জায়গা এই তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছে। এই তিনটি জায়গা হল তাইওয়ানের তাইনান, ভারতের সিকিম এবং চিনের শি ইয়ান। স্বাভাবিকভাবেই পর্যটনের নিরিখে এই স্থান করে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সিকিমে একাধিক জায়গা রয়েছে যেগুলি মাস্ট ওয়াচ। সিকিম আকারের দিক থেকে ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য। তিনি প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে সেই সৌন্দর্য্য অফুরান। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের জন্য সিকিম ভ্রমণের খরচ অনেকটাই কম। আর সেই কারণে পর্যটকদের অন্যতম ভ্রমণ ডেস্টিনেশন এই জায়গা।
উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ ভেঙে চরম বিপর্যয়ের কবলে পড়েছিল সিকিম। বহু মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছিলেন। সেই স্মৃতি এখনও বহু মানুষের স্মৃতিতে তাজা। সেই সময় সিকিম বাংলা সংযোগকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যদি তা পুনরায় চালু হয়েছে এবং স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি।