Raigunj Kulik Bird Sanctuary: বর্ষার মরশুমে পাহাড় ক্রমশ বিপজ্জনক হচ্ছে। ধস নেমে পাহাড়ের রাস্তা নিত্যদিন বন্ধ হচ্ছে। এই ভাল তো এই ঝক্কি। কখন কোন রাস্তা কখন বন্ধ হবে কেউ জানে না। তাই পরিবার নিয়ে ঝুঁকি এড়াতে পর্যটন ও ভ্রমণপ্রেমীদের বেশি বেশি করে বিকল্প খুঁজতে হচ্ছে। এমনিতে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জঙ্গল সাফারির উপায় নেই। তবে পাখিপ্রেমীদের জন্য দারুণ সুখবর নিয়ে এসেছে উত্তরবঙ্গ। বৃষ্টির ধারা গায়ে মেখে আর রং-বেরংয়ের পাখি দেখে কাটিয়ে দিতে পারেন বর্ষার মরশুম। চলুন দেখে নিই, কোথায় কীভাবে পাখি দেখবেন। খরচও সামান্যই।
উত্তরবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার সদর রায়গঞ্জে এই চমৎকার টুরিস্ট ডেস্টিনেশনটি পক্ষীপ্রেমিকদের কাছে স্বর্গরাজ্য।বিশেষ করে বর্ষাকাল। এই সময়ই এখানে পাখি আসে দেশ-বিদেশ থেকে। এখানকার পরিযায়ীরা শীত নয়, বেশিরভাগে বর্ষাতেই আসে। পরিযায়ী পাখিদের কাছে যত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে রায়গঞ্জের এই কুলিক পক্ষী নিবাস, তেমনই পর্যটকরাও পাখি দর্শনের চাহিদায় উত্তরোত্তর ভিড় জমাচ্ছেন।
বর্ষার শুরুতেই কুলিকের জঙ্গলে ভিড় জমায় দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পরিযায়ী পাখির দল। এই মুহূর্তে কুলিকে পাখির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণত প্রতি বছর মে-জুন মাসের দিকে পাখিদের আগমন ঘটে এই কুলিক পক্ষী নিবাসে। তবে কোনও কোনও সময় দেরিতেও পাখিরা আসে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিএফও দাওয়া শেরপা সংবাদমাধ্যমকে জানান, এবার বর্ষার শুরু থেকেই উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। তাই পাখিদের সংখ্যাও বেড়েছে। প্রতিদিনই প্রায় নতুন নতুন পাখিরা আসছে। এক লক্ষ পেরিয়ে যেতে পারে পাখির সংখ্যা বলে জানান তিনি। পক্ষীগণনা অনুযায়ী, গত বছর থেকে পাখির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে দেখা মিলছে নাইট হেরন, ওপেন বিল স্টক, কর্মরেট ও ই গ্রেট এই চার ধরনের পাখি। এই পাখিরা মূলত ছয় থেকে সাত মাস কুলিকে থেকে প্রজনন শুরু করে। শাবকদের লালন পালন করে তারপর নভেম্বর ও ডিসেম্বরে তারা আবার ফিরে যায় তাদের নিজের দেশে।
ইতিমধ্যেই কলকাতা, মালদহ, শিলিগুড়ি বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু পর্যটক এখানে আসতে শুরু করেছেন। তাই এক-দুদিনের ছুটি নিয়ে কুলিক পক্ষীনিবাস ঘুরে আসতে পারেন। কলকাতা থেকে সরাসরি ট্রেন বা বাসে আসা যায়। রায়গঞ্জে থাকা-খাওয়ার খরচ খুব কম। ফলে পকেট বাঁচিয়ে ছুটি কাটাতে পারবেন।