Sikkim Disaster Black Market: হড়পা বানে সিকিমে ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর গোটা সিকিম সহ দার্জিলিং পাহাড় আতঙ্কিত। বিশেষ করে পর্যটন মরশুমে যাঁরা সিকিমে গিয়েছিলেন এবং সিকিম থেকে ফিরতে পারেননি, তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন। একের পর এক মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা থেকে। জলের তোড়ে ভেসে আসা মৃতদেহগুলি শিলিগুড়ির কাছে গজলডোবায় তিস্তা নদীর বাঁধে এসে আটকাচ্ছে। সেখান থেকে উদ্ধার কাজ চলছে। সব মিলিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি।
দুটি রাস্তা খোলা থাকছে
এমনিতেই শিলিগুড়ি যাওয়ার সোজা পথ এই মুহূর্তে বন্ধ। বৃহস্পতিবার ডুয়ার্সের ওদলাবাড়ি হয়ে গরুবাথান দিয়ে লাভা হয়ে গ্যাংটক যাওয়ার একমাত্র খোলা পথ দিয়ে ঘুরে প্রায় ৪-৫ ঘন্টা অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে শিলিগুড়িতে যাওয়া এবং যানজট পেরিয়ে আনাজপত্র, রসদ নিয়ে সিকিমে আসা এখন কঠিন পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বহু মানুষ আটকে ছিলেন, ফিরতে পারেননি। এদিকে সমতলে বসে উদ্বিগ্ন হয়েছেন আত্মীয় পরিজনরা।
শুক্রবার আরও একটি রাস্তা খুলে গেল। ধস সরিয়ে রংপো থেকে সিংতামের দিকে রাস্তা খুলে গিয়েছে। ফলে আপাতত দুটি রাস্তা খুলল। যদিও সিংতামের রাস্তাটিও কোনও মতে সচল করা হয়েছে। ধীরে ধীরে যানচলাচল শুরু হয়েছে। রাস্তার পাশে বালিতে আটকে রয়েছে গাড়ি, কোথাও ভাঙা ঘরের কাঠামোর চিহ্ন। দুদিন আগেও জমজমাট এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
রাজ্যের হেল্প ডেস্ক
এরই মধ্য়ে শুক্রবার থেকে শিলিগুড়িতে দুটি জায়গায় হেল্পডেস্ক চালু করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। এনজেপি স্টেশন এবং তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসে দুটি হেল্পডেস্ক চালু হয়েছে। তার তদারকি করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী এবং শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে। দুজনই বৃহস্পতিবার রাতে তড়িঘড়ি তৃণমূলের রাজভবন অভিযান ছেড়ে শিলিগুড়ি ফিরেছেন। সৌরভবাবু জানান, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা রাতেই পৌঁছেছি শিলিগুড়ি। এই হেল্পডেস্কে সব রকম সহায়তা করা হবে। শুধু আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করছি।"