scorecardresearch
 

Sikkim Tourism: বিধ্বস্ত সিকিমের কয়েকটি জায়গাকে বিপন্মুক্ত ঘোষণা, কোথায় কোথায় ঘোরা নিরাপদ?

কিছুদিন পরেই পুজোর মরশুম শুরু হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটক সিকিমে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বুকিং করে রেখেছিলেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ পর্যটক ফোন করে পরিস্থিতি জানতে চেয়েছে। অনেকে আবার বলেও দিয়েছে বৃহস্পতিবার অবধি দেখে বুকিং নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে। এদের বুকিং বাতিল রুখতেই বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজে বেড়াচ্ছেন ট্যুর অপারেটররা।

Advertisement
বিধ্বস্ত সিকিমের কয়েকটি জায়গাকে বিপন্মুক্ত ঘোষণা, কোথায় কোথায় ঘোরা নিরাপদ? বিধ্বস্ত সিকিমের কয়েকটি জায়গাকে বিপন্মুক্ত ঘোষণা, কোথায় কোথায় ঘোরা নিরাপদ?
হাইলাইটস
  • বিধ্বস্ত সিকিম, ডুয়ার্স-দার্জিলিঙে
  • বুকিং রাতারাতি বাড়ল
  • হোটেল, রিসর্টের হিমশিম অবস্থা

Sikkim Disaster turned Tourism: আচমকা সিকিমে বিপর্যয়ে আতঙ্ক গোটা পর্যটন সার্কিটে। দারুণ ছুটির মরশুম কাটানোর প্রস্তুতি যখন নিচ্ছিলেন পর্যটকরা, তখনই এই বিপদ। হঠাৎ করেই ডুয়ার্স তরাইয়ে বুকিং এর enquiry শুরু হয়েছে। মোটামুটি ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ বুকিং ছিল পুজোর মরশুমে। বেশিরভাগেরই পছন্দ ছিল দার্জিলিং-গ্যাংটক প্যাকেজ টুর। কিন্তু এই মুহূর্তে কেউ আর সিকিমগামী হওয়ার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। এর মধ্যে আবার সিকিম সরকারের তরফে আশঙ্কার কথা শোনানো হয়েছিল। ফলে আরও ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন পর্যটকরা। এবার কিছুটা আশার কথা শোনালো সিকিম সরকার। তারা বিপজ্জনক জায়গা বাদ দিয়ে কোথায় কোথায় যেতে পারেন পর্যটকরা তাঁর একটা ছবি তুলে ধরেছেন। ফলে যাঁদের ঘুরতে যাওয়ার জন্য পয়লা পছন্দ সিকিম, তাঁরা কিছুটা হলেও উৎসাহিত হতে পারেন। 

কোথায় কোথায় ঘুরবেন?

পর্যটকরা চাইলে দক্ষিণ ও পশ্চিম সিকিমে ঘুরতে পারবেন বলে জানিয়ে দিল সিকিম সরকারের পর্যটন বিভাগ। সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাঁরা সিকিমে যেতে ইচ্ছুক, তাঁরা পশ্চিম ও দক্ষিণ সিকিম ঘুরতে পারেন। পাহাড়ি রাজ্যের ওই দুটি জায়গা আপাতত সম্পূর্ণ বিপন্মুক্ত। সরকারের এই বিজ্ঞপ্তিতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন কয়েকটি এলাকার পর্যটন ব্যবসায়ীরা। যদিও পর্যটকরা কতটা আসতে চাইবেন তা অবশ্য লাখ টাকার প্রশ্ন। তবে কিছু মানুষ যাঁদের সিকিমের বিভিন্ন এলাকা সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার তাঁরা আসবেন বলে আশা করছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন

কোন কোন এলাকা দেখার মতো?

সিকিমের নামচি, পেলিং, রাবাংলা, ইয়ুকসাম, রিনচেনপং, কালুক, ছায়াতাল, মতো এলাকাগুলি পশ্চিম সিকিমের মধ্যে পড়ে।অন্যদিকে টেমি, জোরথাং, নামচি, রংপো এলাকা দক্ষিণ সিকিমে পড়ে। হোটেল ব্যবসায়ী ও স্থানীয় গাড়িচালক ও অন্যান্যরা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে। সেইসঙ্গে স্বস্তি ফিরেছে পর্যটকদের একাংশেরও। হোটেল ব্যবসায়ীদের তরফে সরকারকে বলা হয়েছিল, পূর্ব ও উত্তর সিকিম বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত। কিন্তু পশ্চিম ও দক্ষিণ সিকিমে কিছু হয়নি। তাই সরকারের কাছে তারা দাবি রেখেছিলেন, যাতে এখানে পর্যটকদের আসতে বারণ না করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

পর্যটন সার্কিট সূত্রে এবং বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে মোটামুটি পুজোর মরশুমে গড়ে ৫ লক্ষ পর্যটক গ্যাংটক এবং সিকিমের অন্যান্য জায়গা ঘুরতে যান। মনে করা হচ্ছে প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ বুকিং ক্যানসেল হতে পারে। এবার এই বিপুল পরিমাণ পর্যটককে অন্য জায়গায় কোথায় বন্দোবস্ত করা যায় তা ভেবে এখন মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হচ্ছে।

কিছুদিন পরেই পুজোর মরশুম শুরু হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটক সিকিমে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বুকিং করে রেখেছিলেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ পর্যটক ফোন করে পরিস্থিতি জানতে চেয়েছে। অনেকে আবার বলেও দিয়েছে বৃহস্পতিবার অবধি দেখে বুকিং নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে। এদের বুকিং বাতিল রুখতেই বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজে বেড়াচ্ছেন ট্যুর অপারেটররা। এ বিষয়ে হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, “পর্যটকরা ফোন করছে বারবার। আমরা তাদের বলেছি আতঙ্কিত না হতে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে। তবে আমরা সকলকেই বলেছিলাম, সিকিম না যেতে পারলে আমরা তাঁদের দার্জিলিং কিংবা ডুয়ার্সে ঘুরিয়ে দেব। এখন এই ঘোষণায় একেবারে সিকিম ভ্রমণ বাতিল হচ্ছে না। যাতে সকলেই কিছুটা বাঁচার চেষ্টা করতে পারে।

 

Advertisement