Dooars Jungle Wildlife Visit In Monsoon: ১৫ জুন থেকে ৩ মাসের জন্য বন্ধ বন্ধ হয়ে গিয়েছে ডুয়ার্সের সব জঙ্গল। আপাতত জঙ্গলে পশুদের ব্রিডিং সিজন চলবে। ফের পর্যটকদের জন্য জঙ্গলে প্রবেশের ছাড়পত্র মিলবে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে। মূলত ডুয়ার্সের আকর্ষণ বিভিন্ন জঙ্গল ও জঙ্গল সাফারি। এই তিন মাসে তাই ভাটা থাকে ডুয়ার্সের পর্যটনে। কিন্তু জঙ্গলের ভিতরে না ঢুকলেও কিন্তু বেশ কিছু জায়গায় ঘুরতে পারেন, সেখানে জঙ্গলে বাইরে থেকেই দেখা যাবে বন্যপ্রাণী। এমন জায়গাও আছে। তাই বর্ষায় ঝুঁকির পাহাড়ে যদি না যেতে চান, তাহলে কিন্তু এই জায়গায় যেতে পারেন। আসুন আপনাকে খোঁজ দিই কোথায় গেলে পাবেন এমন সুখ।
এই সময় ভুটানের পাহাড়ে টানা বৃষ্টির ফলে ডুয়ার্সের আপাত নিরীহ নদীগুলি ফুলে ফেঁপে ওঠে। শীতে যে সব নদীতে ঘটি ডোবে না। বর্ষায় সেগুলিরই ভয়াল রূপ। একেবারে নদীতে না নামলে অবশ্য কোনও ভয় নেই। প্রবল বেগে স্রোতস্বিনী এই নদীগুলি হয়ে ওঠে তখন অপরূপা সুন্দরী। এবার মজা এখানেই।
প্রথমত এই সময় জঙ্গলের অফ সিজন তাই বুকিং পাওয়া অনেক সহজ। পাশাপাশি ডিসকাউন্ট রেটেও পাওয়া যায় রিসর্ট কটেজগুলি। তার সঙ্গে উপরি পাওনা হল বন্যজন্তুর দেখা মেলে সহজেই। অন্য সময় জঙ্গল সাফারিতে গিয়েও হয়তো দেখতে পাবেন না। কিন্তু এই সময় সেগুলি দেখতে পেতে পারেন সহজেই। বিনা খরচে। শুধু চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।কিন্তু কীভাবে?
জন্তু-জানোয়াররা এসময় পর্যটকদের আনাগোণা থাকে না বলে তারা অনেক বেশি খোলামেলা ঘুরে বেড়ায়। তারা এই সময় নদীর পাড়ে ঘুরে বেড়ায়। হাাতি, হরিণ, বাইসন, কপালে থাকলে চিতাবাঘ, আরামে দেখতে পাবেন। শুধু আপনাকে নদীর কাছাকাছি কোনও রিসর্ট নিতে হবে। অনেক রিসর্টের বারান্দা থেকেই দেখা যায় নদীর চর। অন্য সময় এ সমস্ত প্রাণিদের দেখা পেতে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়। তারপরেও অনেকে দেখতে পান না। তার উপরে রয়েছে সবুজ চা বাগান। চ-পাতা গাছের উপর বৃষ্টি আরও সুন্দর করে তোলে।
ফলে বর্ষাতেও জঙ্গলের স্বাদ নিতে কোনও অসুবিধা নেই। শুধু বুকিংয়ের আগে খোঁজ নেবেন, রিভারসাইড রিসর্ট রয়েছে কি না। তাহলেই কেল্লা ফতে। আর হ্যাঁ, ২ থেকে ৩ দিনের পরিকল্পনা রাখবেন। নইলে বন্যপ্রাণিরা তো আর হিসেব কষে আসে না। বুড়ি ছোঁয়ার মতো হলে কিন্তু সব পরিকল্পনা মাঠে মারা যেতে পারে।