scorecardresearch
 

Snowfall At North Bengal: বড়দিনের ছুটিতে উত্তরবঙ্গের কোথায় কোথায় বরফ পাবেন?

Snowfall At North Bengal: পশ্চিমবঙ্গে র উত্তর দিকে এখন শুধুই হিম-ঠান্ডা। কম খরচ আর দ্রুত পৌঁছে যেতে এই রাজ্যে রয়েছে বেশ কয়েটি বরফের খনি। যেখানে ডিসেম্বরের শেষ থেকেই বরফ পড়া শুরু করে। মানে শীতের ছুটিতে তুষারপাত দেখতে উত্তরবঙ্গ থেকে ঘুরে আসতে পারেন। হিমালয়েরর বুকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছোটো ছোটো গ্রামগুলি শীতের সময় দারুণ লাগে। 

Advertisement
বড়দিনের ছুটিতে উত্তরবঙ্গের কোথায় কোথায় বরফ পাবেন? বড়দিনের ছুটিতে উত্তরবঙ্গের কোথায় কোথায় বরফ পাবেন?

সামনেই বড়দিন। প্রায় দিন দশেকের লম্বা ছুটি। স্কুল কলেজগুলিতে এই সময় শীতের ছুটি। আর অফিসে রয়েছে ক্রিসমাস ও ইয়ার এন্ডিং হলিডে। সব মিলিয়ে শীতের আমেজ উপভোগ করার জন্য দারুণ ইয়ার এন্ডিং। আর এই সময় বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে তুষারপাত। পশ্চিমবঙ্গে র উত্তর দিকে এখন শুধুই হিম-ঠান্ডা। কম খরচ আর দ্রুত পৌঁছে যেতে এই রাজ্যে রয়েছে বেশ কয়েটি বরফের খনি। যেখানে ডিসেম্বরের শেষ থেকেই বরফ পড়া শুরু করে। মানে শীতের ছুটিতে তুষারপাত দেখতে উত্তরবঙ্গ থেকে ঘুরে আসতে পারেন। হিমালয়েরর বুকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছোটো ছোটো গ্রামগুলি শীতের সময় দারুণ লাগে। 

​দার্জিলিং

দার্জিলিং

শীতকালে কম খরচে বেড়াতে যাওয়ার আদর্শ জায়গা দার্জিলিং। ইতিমধ্যেই উঁচু এলাকায় তুষারপাত হয়েছে। তুষারপাতের কারণে গোটা শহর সাদা হয়ে থাকে। বড়দিনের সময় থেকেই এখানে ভিড় বাড়ে। ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত পর্যটন মরশুম। টাইগার হিলে সূর্যোদয় দেখুন, ম্যালে ঘুরে বেড়ান কিংবা কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শনের সঙ্গে টয়ট্রেন। আর কপাল ভাল হলে শহরেই তুষারপাত দেখতে পাবেন। 

​সান্দাকফু

সান্দাকফু

পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গটি ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসে তুষারপাতের কারণে আরও আশ্চর্যময় হয়ে ওঠে। শীতের সময় এখানে অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীরা ট্রেকিং-এর উদ্দেশ্যে যান। সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানের অভ্যন্তরে ট্রেকিং রুটের চারটি পর্যায় রয়েছে। মানেভঞ্জন-মেঘমা, মেঘমা-গৈরিবাস-টংলু-টুমলিং। সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানের সীমানাটি এই পথের ধারেই। তৃতীয় ট্রেকটি হল গৈরিবাস থেকে সান্দাকফু। টানা ৪ ঘণ্টার খাড়াই পথ ধরে পৌঁছোতে হয় সান্দাকফুতে। পথে পড়ে কালা পোখরি গ্রাম। এবং চতুর্থটি হল সান্দাকফু-ফালুট। ট্রেকিং পথে সব চেয়ে আকর্ষণীয় অংশ এটি। ২১ কিলোমিটার পথে সব সময়ের সঙ্গী এভারেস্ট আর কাঞ্চনজঙ্ঘা।

Advertisement

রিম্বিক

রিম্বিক

দেশের আর পাঁচটা পাহাড়ি গ্রামের চেয়ে এখানকার গ্রামগুলি বেশ পকেট ফ্রেন্ডলি। ছবির মতো সুন্দর রিম্বিক গ্রামটি দার্জিলিঙের চেয়েও আকর্ষণীয়। আর তেমনই নিরিবিলি। তাই শান্তিতে ঘোরা যায় এখানে। এখানকার সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানে একবার প্রবেশ করলে আর ফিরতে ইচ্ছে করবে না। তুষারপাতের পর এখানকার বরফে ঢাকা রাস্তার মধ্য দিয়ে ভ্রমণ এবং স্নোবল গেম খেলার আনন্দ মনোমুগ্ধকর। 

রিশপ

রিশম

রিশপকে বলা হয় লাভা এবং লোলেগাঁও-এর ছোটো বোন। লাভা লোলেগাওয়ের মতোই সুন্দর এটি। এই গ্রামে গেলে, মুগ্ধ হবেন। তুষারপাতের পর এখানকার ছোটো ছোটো ভিক্টোরিয়ান বাড়িগুলি ধবধবে সাদা হয়ে যায়।

​লাভা-লোলেগাঁও

বরফ


শীতে তুষারপাত উপভোগ করার উপযুক্ত জায়গা হল লাভা ও লোলেগাঁও। উত্তরবঙ্গের এই ছোট্টো গ্রামে দার্জিলিং থেকে সরাসরি যাওয়া যায়। এই স্থান অবসার যাপনের জন্য আদর্শ। ট্রেকিং, রোমিং, তুষারময় রাস্তা ও পরিবেশ উপভোগ, দূরের পাহাড়ের হাতছানি, রহস্যময় কুয়াশা অবসরের প্রতিটি মুহূর্তকে আকর্ষণীয় করে তুলবে।

 

Advertisement