২০২৩ সাল শেষ হতে আর বেশি দেরি নয়। নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর তোড়জোড় পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। চারদিকে উৎসবের মেজাজ। কেউ আবার বাক্স-প্যাঁটরা নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছেন। আবার কেউ পরিবারের সঙ্গে একান্তে ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা সেরে ফেলেছেন। বছর শেষ আর নতুন বছরের সূচনালগ্নে অনেকেই মন্দিরে যান। বিশেষ করে, পুজো দিয়ে অনেকেই নতুন বছর শুরু করেন। অনেকেরই বিশ্বাস, বছরের প্রথম দিন দেবতার দর্শনলাভে জীবন মঙ্গলময় হয়। এই বিশ্বাস থেকেই এমন কিছু ধর্মীয় স্থান এবং মন্দিরের তালিকা দেওয়া হল এখানে। নতুন বছরের প্রথম দিন এখানে গেলে আপনার জীবন মঙ্গলময় হতে পারে।
বারাণসী- দেশে যত ধর্মীয় স্থান রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম উত্তরপ্রদেশের বারণসী। পবিত্র স্থান হিসাবে অন্যতম এই শহর। সারা বছর ধরেই এই শহরে বহু মানুষ ভিড় জমান। বিশেষ করে তীর্থযাত্রীর আনোগোনা লেগেই থাকে। মনে করা হয়, নতুন বছরের প্রথম দিন যদি বারাণসীতে যান এবং গঙ্গা দর্শন করেন, তা হলে জীবন শুভময় হতে পারে।
হরিদ্বার- দেশের আরও একটি পবিত্র স্থান হল হরিদ্বার। গঙ্গার কিনারে হরিদ্বার হিন্দুদের কাছে পবিত্র স্থান। হরিদ্বারে থেকে যদি নতুন বছর শুরু করেন, তা হলে নাকি কপাল খুলে যায়।
মহাকাল মন্দির- উজ্জ্বয়িনীর এই শিব মন্দিরের অনেক মাহাত্ম্য রয়েছে। বিখ্যাত এ মন্দিরে রোজই বহু মানুষ ভিড় জমান। ভগবান শিবের আশীর্বাদ নিয়ে যদি নতুন বছর শুরু করা যায়, তা হলে তো কথাই নেই।
বিড়লা মন্দির- দিল্লির এই মন্দিরও বিখ্যাত। দিল্লির ধর্মীয় স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম এই মন্দির। এই মন্দিরে ভগবান বিষ্ণু এবং মা লক্ষ্মীর মূর্তি রয়েছে। নতুন বছরে এই মন্দিরে দর্শন করতে পারেন।
বাঁকে বিহারী মন্দির- নতুন বছরের প্রথম দিনে শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান মথুরায় যেতে পারে। পুজো দিতে পারেন বাঁকে বিহারী মন্দিরে।
জগন্নাথ মন্দির- পুরীর জগন্নাথ মন্দির জগৎ বিখ্যাত। কথিত আছে, এই মন্দিরে গিয়ে জগন্নাথ দর্শন করলে জীবন মঙ্গলময় হয়। নতুন বছরের প্রথম দিন তাই এই মন্দিরে যেতেই পারেন।
দক্ষিণেশ্বর মন্দির- কলকাতার অদূরে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ১ জানুয়ারি লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। কল্পতরু উৎসব উপলক্ষে বিশেষ পুজো হয় মন্দিরে। কথিত আছে, এই দিন ভক্তদের সব মনবাসনা পূরণ করেন মা।
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন মন্দিরে পুজো দিয়ে নতুন বছর শুরু করতে পারেন।