scorecardresearch
 
Advertisement

VIDEO: করোনা কেড়েছে বরাত, তবুও আপন মনে শোলা কেটে চলেছেন কমলবাবু

VIDEO: করোনা কেড়েছে বরাত, তবুও আপন মনে শোলা কেটে চলেছেন কমলবাবু

'জলসাঘর' আগলে আজও নিজের মনে শোলা কেটে চলেছেন কমল মালাকার। পুজোর সব আনন্দ যে সেখানেই লুকিয়ে। শরতের আকাশে ভাসছে পেঁজা তুলো মেঘের ভেলা। পুজো পুজো গন্ধে মাতোয়ারা চারিদিক। কিন্তু কোরোনার থাবা পড়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোতেও। এবছরে জাঁকজমকপূর্ণ দুর্গাপুজোর প্রস্তুতিতেও ভাটা পড়েছে। কোরোনা আবহে পুজো কমিটিগুলি বাজেটে কাটছাঁট করেছে। যার জেরে ডাক শিল্পীদের বরাত জুটেছে যৎসামান্য। বোলপুরের সাজানো গ্রাম সুরুলে নিজের ঘরে বসে আপন মনে শোলা কেটে চলেছেন বছর ষাটেকের কমল মালাকার। একটা সময় ছিল, যখন দম ফেলার ফুরসত মিলত না। পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি ২০-৩০ জন যুবক যুবতি কাজ করতেন তার কাছে। এদের বেশ কয়েকজন বিশ্বভারতীর কলা ভবনের ছাত্রছাত্রী। বাইরে থেকে শিল্পীরা আসতেন সুরুলে শোলার কাজ করতে। তাঁদের সঙ্গে কমল মালাকার মনের আনন্দে তৈরি করতেন একের পর এক শোলার ডাকের সাজ। এখন সে জায়গা দখল করেছে থার্মোকল। তাতে খরচ, শ্রম, কম। তার উপর গত দুবছর ধরে করোনার প্রভাব। যেটুকু বেঁচে ছিল সেই শোলাশিল্প এখন তাও বিলুপ্তির  মুখে।কিন্তু তাতে কী! একা 'জলসাঘর' আগলে আজও নিজের মনে শোলা কেটে চলেছেন তিনি। তৈরি করছেন দূর্গার মুখ।

Advertisement