পরিবহনে কলকাতা শহরের ঐতিহ্য বহন করছে ট্রাম (Tram)। এখনও এই ট্রাম দেখতে, ভ্রমণের জন্য ভিড় জমান দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা (Tourists)। রাস্তার ওপর দিয়ে ঢং ঢং ঘণ্টা বাজিয়ে ধীর গতির যান দেখতে উৎসুক হয়ে থাকেন পর্যটকেরা। তবে ঐতিহ্যের এই ট্রামের দেখা মিলবে আর কতদিন উঠছে প্রশ্ন। একেই ট্রামের ঐতিহ্য বজায় রাখতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে প্রশাসনের। অন্যদিকে, মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ট্রাম লাইন। বহু জায়গায় বন্ধও রয়েছে ট্রাম রুট।
ট্রামলাইনের কারণে নিত্যনৈমিত্তিক বাইক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। ট্রামের মসৃণ লাইনে হড়কে যাচ্ছে বাইকের চাকা। যে কারণে, বারংবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন বাইক আরোহীরা। এমন ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন অনেকেই। বেপরোয়া গতিতে বাইক চালানো হচ্ছে এমন নয়, সামনে থেকে আসা কোনও গাড়িকে দেখে ব্রেক কষলেই ট্রামলাইনে চাকা পিছলে পড়ার ঘটনা সামনে আসছে।
মানিকতলা-বাগমারি মোটর বাইক দুর্ঘটনা
ফেব্রুয়ারি মাসেই মানিকতলা মেন রোডে ট্রাম লাইনে চাকা পিছলে মৃত্যু হয় এক মোটর বাইক চালকের। তারপর দিনই ফের মোটর বাইক দুর্ঘটনায় আহত হন দু'জন। মানিকতলা-বাগমারি এলাকা দিন দিন দুর্ঘটনা প্রবণ হয়ে পড়েছে। ট্রাম লাইনের জেরে সেখানে নিত্যদিন দুর্ঘটনা লেগেই আছে।
এমনকি, ট্রাম লাইন তুলে দিয়ে সেখানে পিচের রাস্তা করে দেওয়ার দাবিতে পথ অবরোধও করেছিলেন স্থানীয়রা। মল্লিকবাজার থেকে পার্ক সার্কাসমুখী রাস্তায় ব্রেক কষতে গিয়ে অতর্কিতে ট্রাম লাইনে চাকা স্কিট করে উল্টে যাওয়ার মুখে পড়েছেন মোটর বাইক আরোহীরা।
বর্ষাকালে ভয়াবহ পরিস্থিতি
বর্ষাকালে যা আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি। বর্ষার জলে মরণ ফাঁদ হয়ে ওঠে ট্রাম লাইন। হালফিলে এরকম ঘটনা সামনে আসায় চিন্তায় বাইক আরোহীরা। এরকম অজস্র ঘটনা সামনে আসছে। তবে সুরাহা প্রশাসনের তরফে করা হয় কি না, এখন তাই দেখার।