গাব্বায় টেস্ট ম্যাচ বাঁচিয়ে ভারতীয় দলকে (Team India) স্বস্তি এনে দিয়েছেন বাংলার ক্রিকেটার। বাংলার হয়ে খেললেও আকাশ দীপ (Akas Deep) আসলে বিহারের বাসিন্দা। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে আন্তর্জাতিক স্তরে খেলতে নামার সফরটা একেবারেই সহজ ছিল না বাংলার তরুণ পেসার আকাশের জন্য। তাঁকে পার করতে হয়েছে একাধিক বাধা। শুধু ঘরোয়া ক্রিকেটই নয়, তাঁকে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে হয়েছে আইপিএলেও (IPL)। তবে শত চাপের মাঝেও তিনি বল হাতে দিয়েছেন একের পর এক ভালো পারফরম্যান্স করেন এবং অবশেষে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন জাতীয় দলে।
কীভাবে উঠে এলেন আকাশ দীপ?
বিহারের সাসারামে আকাশের জন্ম। অনেক কঠিন লড়াই করে জাতীয় দলে আসতে হয়েছে তাঁকে। একে পরিবারের খেলাধুলার তেমন চল ছিল না। তার উপর ছয় মাসের মধ্যে বাবা ও দাদার মৃত্যু আরও অবস্থা শোচনীয় করে তোলে। তবুও তিনি ক্রিকেট থেকে নিজের নজর সরাননি। তিন বছর পর নিজের লড়াইয়ে ফেরেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি ৩০টি ম্যাচ খেলে তুলেছেন ১০৪টি উইকেট। তিনি আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুর হয়ে খেলেন।
সংসার চালাতে হত আকাশ দীপকে
দুর্গাপুরে থাকার সময় জেলায় টেনিস বল ম্যাচ খেলে প্রতিদিন ৬০০০ টাকা পেতেন আকাশ দীপ। মাসে ২০ হাজার টাকা পেতেন তিনি। যা দিয়ে তাঁর সংসার চলত। বাংলার হয়ে অনূর্ধ্ব ২৩ দলে সুযোগ পাওয়ার আগে অবধি নিজে থেকেই ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যেতেন আকাশ দীপ। ২৭ বছর বয়সী আকাশ দীপের ক্রিকেটে হাতে খড়ি হয় টেনিস বল দিয়ে। আকাশ দীপের বাবা রামজি সিং ছিলেন শিক্ষক। তিনি কখনও চাইতেন না আকাশ দীপ ক্রিকেটার হোক। বরং তিনি আকাশ দীপকে সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিতে উৎসাহিত করতেন। কিন্তু আকাশের স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হয়ে ওঠা। ঠিক সেই লক্ষ্যেই অবিচল থেকে এগিয়ে গিয়েছেন তিনি। আজ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর টেস্ট অভিষেক হয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি দুর্দান্ত পারফরম্যন্সও করছেন।
আট ছক্কায় করেছিলেন হাফ সেঞ্চুরি
প্যাট কামিন্সকে (Pat Cummins) মিড-উইকেটের উপর দিয়ে যেভাবে উড়িয়ে দিলেন গ্যালারিতে, তা দেখে হতভম্ব খোদ বিরাট কোহলিও। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে আটটা ছক্কা মেরে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন আকাশ। সবকটা ক্লিন হিট। তাই অনেকেই গাব্বায় মারা ছক্কা দেখে অবাক হচ্ছেন, তবে বাংলার ক্রিকেট যারা নিয়মিত দেখেন, তারা চেনেন আকাশের ব্যাটও কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে।
রোহিত-বিরাটদের শেখা উচিত
অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে লিখেছেন, ‘আকাশ দীপের থেকে টিউশন নিক বিরাট।’ পেসের পাশাপাশি স্পিনের বিপক্ষেও সাবলীল শট খেলেছেন বাংলার ক্রিকেটার। তিনি যে আদতে টেল-এন্ডার, বোঝাই যায় নি তা।