আচমকা অশ্বিনের অবসর ঘোষণা সবাইকে চমকে দিয়েছে। ছেলের সিদ্ধান্তে ততটাই হতচকিত পরিবারও। জানালেন অশ্বিনের বাবা রবীচন্দ্রন। তাঁর অভিযোগ, অশ্বিনকে হেনস্থা করা হয়েছে। সেই কারণে হয়তো আচমকা খেলা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার গাব্বা টেস্ট শেষ হওয়ার পর প্রেস কনফারেন্স করে হঠাৎ নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান অশ্বিন। জানান, তিনি ক্রিকেটের আর কোনও ফর্ম্যাটে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেবেন না। সচেতনভাবেই এই সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন। অশ্বিন যখন এই ঘোষণা করেন তখন অধিনায়ক রোহিত শর্মা তাঁর পাশেই বসে। অবসর ঘোষণার পর আর অস্ট্রেলিয়াতে থাকেননি স্পিনার-অলরাউন্ডার। ফ্লাইট ধরে সোজা চলে আসেন চেন্নাই। বৃহস্পতিবার সকালে নিজের বাড়ি পৌঁছন।
অশ্বিনের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর বাবা রবীচন্দ্রন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আমরাও ওর অবসর ঘোষণার সিদ্ধান্তের কথা আগে জানতে পারিনি। শেষ মুহূর্তে খবর পেয়ে হতভম্ব হয়ে যায়। ক্রিকেট যখন খেলে তখন একদিন অবসর নিতেই হবে। সেটাই স্বাভাবিক। কবে ও অবসর নেবে, সেটা ওরই সিদ্ধান্ত। আমি সেই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করব না। তবে যেভাবে ও অবসর ঘোষণা করল সেটা সবাইকে অবাক করেছে। কী কারণে এমন একটা বড় সিদ্ধান্ত নিল সেটা আমরাও জানি না। তবে নিশ্চয় কোনও হেতু আছে। অশ্বিনই বলতে পারবে। হতে পারে ওকে হেনস্থা করা হয়েছে।'
অশ্বিন নিজে যদিও জানিয়েছেন, তিনি হাসিমুখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কোনও আক্ষেপ নেই। আইপিএল খেলা চালিয়ে যাবেন। সিএসকে-র হয়ে যতদিন পারবেন খেলবেন। নিজের ১০০ শতাংশ আইপিএল-এ দেবেন। তবে অশ্বিন এই কথা বললেও তাঁর বাবা খুশি নন। জাতীয় দলকে তাঁর ছেলের আর অনেককিছু দেওয়ার ছিল বলেই মনে করেন তিনি।
অশ্বিনের বাবা রবীচন্দ্রন বলেন, 'ও কী ভাবছে সেটা আমি জানি না। বোঝা সম্ভবও নয়। ও সবে ঘোষণা করেছে। আমি সেটা মেনেও নিয়েছি। ও অবসর ঘোষণার পর আমি খুশি হয়েছি। আবার পরে এটাও মনে হয়েছে, ও আর জাতীয় দলে খেলবে না। দেশের জার্সি গায়ে নামবে না। তাতে মর্মাহত হয়েছি। এখন মনে হয়েছে, ও যেভাবে অবসরটা ঘোষণা করেছে সেটা স্বাভাবিক নয়।'
প্রসঙ্গত,সিরিজের মাঝ পথে অশ্বিনের অবসর ঘোষণাকে অনেকেই ভালোভাবে নেননি। গাভাসকার এর সমালোচনা করেছেন। সিরিজ শেষ করার পরই ক্রিকেটকে বিদায় জানানো উচিত ছিল বলে মতামত দিয়েছেন কেউ কেউ। আবার এও জল্পনা চলছে, অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ধারাবাহিকভাবে না খেলানোর জন্যই আচমকা জাতীয় দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অশ্বিন।