আইপিএল-এর (IPL 2025) দামামা বেজে গিয়েছে মেগা নিলামের (IPL Mega Auction 2025) পর থেকেই। নিলাম থেকে কোন ফ্র্যাঞ্চেইজি কেমন দল গড়ল তা নিয়েও শুরু হয়ে গিয়েছে চর্চা। ভারতীয় ক্রিকেটাররা সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে কেমন পারফর্ম করছেন তা নিয়েও চুলচেরা বিশ্লেষন শুরু করে দিয়েছেন নানা দলের সমর্থকরা। তবে ক্রিকেট থেকে অনেক দূরে বিনোদ কাম্বলি (Binod Kambli)। অবসর নেওয়ার পর ক্রিকেট সংক্রান্ত বিষয় খুব বেশি দেখা যায়নি বাঁ হাতি এই ওপেনারকে। তবে তিনি যে সময় খেলতেন সেই সময় আইপিএল থাকলে কেমন হত?
কাম্বলি IPL খেললে...
২০২৩ সালে কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে এসে এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ব্যাপারে মুখ খুলেছিলেন স্বয়ং বিনোদ কাম্বলি। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে ভারতীয় দলকে জেতাতে না পেরে মাঠ ছেড়েছিলেন কাঁদতে কাঁদতে। তারপর আর এই শহরে আসেননি। তারকা ক্রিকেটার বলেন, 'আমি আইপিএল খেললে কী হতে পারত সে ব্যাপারে আমি কী বলব? খুব মিস করি ক্রিকেটককে। ওপেন করতে নেমে মারকাটারি ব্যাটিং করতেন বিনোদ কাম্বলী। বাঁ হাতে ব্যাট করায় তাঁকে বল করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হত বিপক্ষের বোলারদের। তাই আইপিএল-এ তিনি খেললে ঠিক কেমন হত তা বলা বেশ কঠিন।
সচিনের থেকেও বড় ব্যাটার ছিলেন কাম্বলি?
ক্রিকেটের ভগবান সচিন তেন্ডুলকরের সতীর্থ, অত্যন্ত প্রিয় বাল্য বন্ধু বিনোদ কাম্বলি, এক সময়ে তাঁর প্রতিভা দেখে অনেকেই অনেক বড় বড় দেওয়াল লিখন লিখেছিলেন৷ বলা হত সচিনের থেকেও নাকি শক্তিশালী ছিল কাম্বলির ব্যাট। কিন্তু কোনও ভাবেই সেই ধারাবাহিকতা পরবর্তী কালে ধরে রাখতে পারেননি৷ সচিন আজ ক্রিকেটের ভগবান, অন্যদিকে কাম্বলি যেন কোনও অন্ধকার সরণিতে হারিয়ে গিয়েছেন৷ বর্তমানে বিনোদ কাম্বলি ভীষণই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আছেন, নানান ভাবে কঠিন পরিস্থিতি তাঁকে ঘিরে ধরছে৷ শারীরিক অর্থনৈতিক, মানসিক, চাপে রয়েছেন তিনি৷ চাকরির জন্য বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করেছেন তিনি৷ তিনি মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কাছেও সাহায্য প্রার্থনা করেছেন৷ কিন্তু কোনও কাজও পাননি৷
আর্থিক অনটনে ভুগছেন কাম্বলি
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে কাম্বলিকে দেখে চমকে উঠেছেন নেটিজেনরা। ঠিক করে চলাফেরা করতে পারছেন না এই প্রাক্তন ক্রিকেটার৷ ভক্তরাও রীতিমত চিন্তিত, এই নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়া আপাতত সরগরম৷ বিনোদ কাম্বলি প্রতি মাসে বিসিসিআই ৩০,০০০ টাকা করে পেনশন হিসাবে পান৷ এই টাকাটাই তাঁর পরিবারের একমাত্র আয়ের রাস্তা৷ সেই টাকা দিয়েই পরিবারের খরচ চালাতে হয়৷